Norovirus: করোনার পর এবার চোখ রাঙাচ্ছে নোরোভাইরাস, আক্রান্ত ১৯ শিশু
মূলত শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল, তাদেরই বেশি আক্রমণ করে নোরোভাইরাস।
এর্নাকুলাম: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে নোরোভাইরাস। ইতিমধ্যে কেরলে ১৯ শিশুর শরীরে নোরোভাইরাসের হদিশ মিলেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, সংক্রমিত ১৯ জনই একই স্কুলের পড়ুয়া এবং তাদের মধ্যে দুজন প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া। এই ঘটনার জেরে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস আপাতত অনলাইনে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
কেরলের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর্নাকুলাম জেলার একটি স্কুলের ১৯ জন পড়ুয়া নোরোভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। প্রত্যেকেরই একই উপসর্গ- পেটের সমস্যাজনিত রোগ। নোরোভাইরাস খুবই সংক্রামক। শিশু এবং যাদের শরীর দুর্বল, তাদেরই মূলত আক্রমণ করে নোরোভাইরাস। তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার বার্তা দিয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর। নোরোভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
নোরোভাইরাস আসলে কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত ভাইরাসের থেকে পেটের অসুস্থতা হয়, সেই গোষ্ঠীরই সদস্য হল নোরোভাইরাস। মূলত শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল, তাদেরই বেশি আক্রমণ করে নোরোভাইরাস।
নোরোভাইরাস কী ভাবে শরীরে থাবা বসে? মূলত খাবার এবং জলের মধ্য দিয়ে নোরোভাইরাসের শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। ফলে নোরোভাইরাসের সংক্রমিত কারও সংস্পর্শে দুর্বল শরীরের কোনও মানুষ এলে তারও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
নোরোভাইরাসে আক্রান্তদের উপসর্গ কী? নোরোভাইরাসে আক্রান্তের প্রথম উপসর্গ হল, বমি এবং ডায়ারিয়া। দু-একদিন পর থেকে পেট ব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা শুরু হয়। ডায়ারিয়ার সঙ্গে নোরোভাইরাসের উপসর্গের অনেকটাই সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেরলেই প্রথম নোরোভাইরাসের হদিশ মেলে ২০২১ সালে কেরলে। গত জুনে আলফুজা জেলায় নোরোভাইরাস যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। প্রায় সাড়ে ৯০০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। মূলত পুর এলাকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি ছিল। এরপর গত বছর জুনেও কেরলের তিরুবনন্তপুরমের এক প্রাথমিক স্কুলের দুই শিশুর শরীরে নোরোভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতায় সংক্রমণ বেশিদূর বাড়েনি।
কীভাবে আটকানো যায় নোরোভাইরাস? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বারবার হাত ধোয়া বেশি করে জল খাওয়া এবং বাইরের খাবার খেতে হলে পরিষ্কার জায়গা থেকে খাবার খাওয়া-ই নোরোভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। তবে নোরোভাইরাসে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা বেশি হলেও ব্যাপারটি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কেরলের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।