Surgical Strikes: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ফের বিতর্ক, দিগ্বিজয়ের পাশে দাঁড়াল না কংগ্রেস

Congress distances itself from Digvijaya Singh's comment: সোমবার, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিগ্বিজয় সিং প্রশ্ন তুলতেই, কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস দলও তাঁর পাশে দাঁড়ালো না।

Surgical Strikes: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ফের বিতর্ক, দিগ্বিজয়ের পাশে দাঁড়াল না কংগ্রেস
বিতর্কিত মন্তব্য করা অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই কংগ্রেস নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 7:33 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh questions surgical strikes)। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে বিজেপি থেকে। সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবির বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি ঘৃণায় অন্ধ হয়ে গিয়েছে বিরোধী দল। কংগ্রেস সেনাবাহিনীকে অপমান করেছে বলে দাবি করেছে তারা। তবে, এই বিতর্কের মুখে দিগ্বিজয় সিং-এর মন্তব্যের দায়িত্ব নিল না কংগ্রেস দল। এই বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একান্তই নিজস্ব বলে দবি করেছেন কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান জয়রাম রমেশ।

এদিন সন্ধ্যায় তিনি টুইট করে বলেছেন, “সিনিয়র লিডার দিগ্বিজয় সিং যে মন্তব্য করেছেন, সেই দৃষ্টিভঙ্গী একান্তই তাঁর নিজস্ব। সেই মন্তব্যে কংগ্রেস দলের অবস্থান প্রতিফলিত হয়নি। ২০১৪ সালের আগে ইউপিএ সরকারের সময়ও সার্জিক্যাল স্টচ্রাইক করা হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে হওয়া সকল সামরিক অভিযানকে কংগ্রেস সমর্থন করেছে,আগামিদিনেও করবে।”

এদিন ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন দিগ্বিজয় সিং। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সিআরপিএফ-এর পক্ষ থেকে তাদের জওয়ানদের শ্রীনগর থেকে দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধ না মানাতেই ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “ওরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলে। ওরা বহু মানুষকে হত্যার দাবি করে, কিন্তু কোনও প্রমাণ দেখায়নি। গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যে প্রচার করে ওরা শাসন চালাচ্ছে।”

মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়ার মতে, কংগ্রেস নামেই ভারত জোড়ো যাত্রা করছে, আসলে তাদের লক্ষ্য ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা। তাদের যাত্রার নাম হওয়া উচিত ‘ভারত তোড়ো যাত্রা’। তিনি আরও বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বললে সহ্য করবে না ভারত। রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ঘৃণা করে। মনে হয় তারা এই ঘৃণায় অন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই ঘৃণা মন স্তরে পৌঁছেছে যে, তাদের দেশের প্রতি কর্তব্যবোধও হারিয়ে গিয়েছে। গান্ধী এবং কংগ্রেসের আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বাস করে না। তারা বারবার প্রশ্ন তুলছে আর ভারতের নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করছে।”