Couple Died: ‘খোকা তোমারও ছেলে হয়েছে, কখনও যেন সে…’, মা-বাবার সুইসাইড নোট কাঁদিয়ে দেবে…

Surat: চার পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে বৃদ্ধ বাবা লিখেছেন, ‘কোনও ভুল থাকলে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে দেনা থেকে বের করে আনতে আমি ধার করেছিলাম। টাকা ফেরাতে না পেরে লজ্জায় ঘর থেকে বেরোতে পারছি না। খোকা তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, কিন্তু আমি তোমাকে আর তোমার ছেলেকে খুবই ভালবাসি। ওর কথা খুব মনে পড়ে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব তোমার ছেলে যেন তোমার সঙ্গে এমনটা না করে।’

Couple Died: ‘খোকা তোমারও ছেলে হয়েছে, কখনও যেন সে...’, মা-বাবার সুইসাইড নোট কাঁদিয়ে দেবে...
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2024 | 11:33 PM

সুরাত: বাবা, মা তাঁদের আজীবনের সঞ্চয় দিয়ে ছেলেকে বড় করেছেন। সেই ছেলে যোগ্য হয়ে বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার চার বছরের মধ্যে বাবা, মায়ের সঙ্গে ক্রমেই কমেছে যোগাযোগ। একটা সময়ের পর ফোনটুকুও করত না বলেই অভিযোগ। আর সেই যন্ত্রণাকে বুকে জড়িয়েই নিজেদের শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এক দম্পতি। চুনিভাই গেরিয়া (৬৬) ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা (৬৪) -এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক সেই নোট।

চুনিভাই ও মুক্তাদেবীর ছেলে পীযূষ কানাডায় রয়েছেন চার বছর ধরে। মা, বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগই রাখেন না বলে অভিযোগ। সার্থনা থানা সূত্রে খবর, ছেলের ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ার পর বাবা, মা ৪০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। এরপর ছেলে কানাডায় চলে যান।

সেই থেকে বাবা, মায়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না। পুলিশ বাড়ি থেকেই দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এমনও অভিযোগ, ছেলে সুরাতে এসেছিলেন। তবে মা, বাবার সঙ্গে দেখা করেননি। এরপর যন্ত্রণায় ডুবতে থাকেন বাবা, মা।

চার পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে বৃদ্ধ বাবা লিখেছেন, ‘কোনও ভুল থাকলে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে দেনা থেকে বের করে আনতে আমি ধার করেছিলাম। টাকা ফেরাতে না পেরে লজ্জায় ঘর থেকে বেরোতে পারছি না। খোকা তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছ, কিন্তু আমি তোমাকে আর তোমার ছেলেকে খুবই ভালবাসি। ওর কথা খুব মনে পড়ে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব তোমার ছেলে যেন তোমার সঙ্গে এমনটা না করে।’ এ চিঠির প্রতি ছত্রে যন্ত্রণা, অভিমান মূর্ত। চুনিভাই লেখেন, স্ত্রী ও তিনি নিজেদের শেষ করে দিচ্ছেন। পীযূষ যেন তাঁদের শেষকৃত্যে কোনও খরচ না করেন, তাও লিখে যান শেষ চিঠিতে।