AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patna Hacker: ইউটিউব থেকে শিখে মুহূর্তে হ্যাক ১২০ সিনেমা, হ্যাকারের পকেটে ১ কোটির ক্রিপ্টো!

Indian Film Industry: বিহারের পটনার বাসিন্দা এই অশ্বিনী কুমার স্কুল পাস করে হ্যাকিংয়ে হাত পাকিয়েছিল। আরও জানা যায়, ইউটিউবের ভিডিয়ো দেখেই নাকি হ্যাকিং শেখে সে। তারপর দেশের ২টি ডিজিটাল সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থার সার্ভার থেকে মোট ১২০টি সিনেমা ডাউনলোড করে নেয়।

Patna Hacker: ইউটিউব থেকে শিখে মুহূর্তে হ্যাক ১২০ সিনেমা, হ্যাকারের পকেটে ১ কোটির ক্রিপ্টো!
Image Credit: Halfpoint Images/Moment/Getty Images
| Updated on: Oct 06, 2025 | 2:29 PM
Share

এ যেন এক হলিউড সিনেমার স্ক্রিপ্ট। এক হ্যাকার দেশের প্রথম সারির ২ ডিজিটাল সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থার ডেটাবেস হ্যাক করে ডাউনলোড করেছে শতাধিক সিনেমা। তারপর টেলিগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন পাইরেসি ওয়েবসাইটকে বিক্রি করে দিয়েছে সেই সব সিনেমা। আর এর পিছনে রয়েছে পটনার এক ২১ বছরের কলেজ ড্রপআউট।

তেলঙ্গনা পুলিশের একটা স্পেশাল অপারেশন টিম এই সিনেমা পাইরেসি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করছে এই বীরপুঙ্গবকে। উল্লেখ্য, এই টিমই এর আগে ৪টে পাইরেসি ওয়েবসাইট বন্ধ করিয়েছিল। জানা গিয়েছে, বিহারের পটনার বাসিন্দা এই অশ্বিনী কুমার স্কুল পাস করে হ্যাকিংয়ে হাত পাকিয়েছিল। আরও জানা যায়, ইউটিউবের ভিডিয়ো দেখেই নাকি হ্যাকিং শেখে সে। তারপর দেশের ২টি ডিজিটাল সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থার সার্ভার থেকে মোট ১২০টি সিনেমা ডাউনলোড করে নেয়। এর মধ্যে কিছু সদ্য রিলিজ হওয়া সিনেমা। আবার কিছু সিনেমা এখনও রিলিজই হয়নি ভারতে। তারপর নাকি অশ্বিনী ওই সব সিনেমা বিক্রি করে দেয় সেই সব পাইরেসি সিন্ডিকেটের কাছে যারা তাকে এই সিনেমাগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি দাম দিতে রাজি হয়।

পটনার গুলজারবাগে অশ্বিনীর একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। অগস্ট মাসে সেখানেই হানা দেয় তেলঙ্গনা পুলিশ। সেখান থেকে একাধিক হার্ড ড্রাইভ সিজ করে তারা। সেই হার্ড ড্রাইভে একাধিক হাই ডেফিনেশন কোয়ালিটির সিনেমা লোড করা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যেমন রয়েছে বলিউড, হলিউড। তেমনই রয়েছে তামিল ও তেলুগু সিনেমাও।

অশ্বিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ২০২৩ সালে সে দুটি ডিজিটাল সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থার সার্ভারখ্যাক করে। যদিও তার এই দাবি খারিজ করে দেয় ওই দুই সংস্থাই। কিন্তু সেই সংস্থাগুলোর সাইবার সিকিওরিটি এক্সপার্টদের এই জিজ্ঞাসাবাদের অংশ হতে অনুরোধ করে। কিন্তু অশ্বিনীর অত্মবিশ্বাস, কীভাবে সেই হ্যাক করেছে তার প্রতিটা ধাপ স্পষ্ট করে বলা দেখে অবাক হয়ে যান পুলিশ থেকে সাইবার এক্সপার্টরা।

কিন্তু কীভাবে সে হ্যাক করেছিল? প্রশ্নের উত্তরে অশ্বিনী জানায় কালি লিনাক্সে জাভা ও পাইথনের মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে সে নিজের হাতে ডিজিটাল সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থাকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সে আরও বলে তার এই হ্যাকিংয়ের শিক্ষা সে পেয়েছে ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে।

জানা গিয়েছে, এই সিনেমাগুলো পাইরেসি সিন্ডিকেটে বিক্রি করে প্রায় ৮০০ ডলার করে পেয়েছে অশ্বিনী। সব মিলিয়ে তার ক্রিপ্টো ওয়ালেটে থাকা ১ লক্ষ ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় ৯০ লক্ষ টাকা, তা ফ্রিজ করে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে পাইরেসি ঠেকাতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, সেই পদ্ধতির আরও আধুনিকীকরণের সময় এসে গিয়েছে।