Modi Celebrates Diwali: ‘দেশীয় রণতরী ঘুম উড়িয়েছিল পাকিস্তানের’, আরব সাগরের তীরে নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন মোদীর
PM Modi Celebrates Diwali With Navy: তাঁর কথায়, 'কয়েক মাস আগেই আইএনএস বিক্রান্ত-র নাম শুনেই গোটা পাকিস্তানের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। গোটা পড়শি দেশে এই রণতরী একটা আতঙ্কের ঢেউ তৈরি করেছিল। এর শক্তি এতটাই যে যুদ্ধে শুরুর আগেই শেষ করার ক্ষমতা রাখে।'

নয়াদিল্লি: স্বদেশি রণতরী ঘুম উড়িয়েছিল পাকিস্তানের (Pakistan)। ক্ষমতা দেখিয়েছিল ‘ব্রহ্মস’ ও ‘আকাশ’-র ক্ষেপণাস্ত্র। দীপাবলির সকালে গোয়া ও কর্নাটকের উপকূল থেকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘সিঁদুর অভিযান’ পর্বে একটা রণতরীই গোটা পাকিস্তানের ‘ঘুম উড়িয়ে’ দিয়েছিল বলে দাবি করলেন তিনি।
প্রতি বছরের ন্যয় এই বছরও সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে ‘আলোর উৎসব’ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। রবিবার রাতেই গোয়া ও কর্নাটকের কারওয়ারের দেশীয় রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে (INS Vikrant) পৌঁছে যান তিনি। রাত কাটান সেখানেই। তারপর সোমবার সকালে নৌবাহিনীর উপস্থিতিতে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদান। সেনার পোশাকেই বার্তা দিলেন মোদী।
কী বললেন তিনি?
আরব সাগর তীরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের দিকেই তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে দেশীয় রণতরী গোটা দেশের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল, সেই বার্তাই দিলেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘কয়েক মাস আগেই আইএনএস বিক্রান্ত-র নাম শুনেই গোটা পাকিস্তানের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। গোটা পড়শি দেশে এই রণতরী একটা আতঙ্কের ঢেউ তৈরি করেছিল। এর শক্তি এতটাই যে যুদ্ধে শুরুর আগেই শেষ করার ক্ষমতা রাখে।’
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান পর্বে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের অন্দরে ঢুকে একটার পর একটা জঙ্গি ঘাঁটিকে ভেঙে গুঁড়়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময়কালে পাক সেনার বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় সম্মুখ সমরে নেমেছিলেন সীমান্তরক্ষীরাও। পরবর্তীতে সেনার তিন প্রধান সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, শুধু আকাশরক্ষী ও সীমান্তরক্ষীরাই নয়, সংঘর্ষ পর্বে দেশের ‘ঢাল’ হয়েছিল নৌসেনাও। সর্বক্ষণ পাকিস্তানের দিকে রণতরী নিয়ে নজর রেখেছিল তাঁরা।
শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমেই সিঁদুর অভিযান যে শুধু সাফল্য অর্জন করেছে এমনটা নয়। স্বদেশী প্রতিরক্ষা তৈরিতেও ‘মাইলস্টোন’ ছুঁয়েছে ভারত। সোমবার আরব সাগরের তীর থেকে সেই বার্তাই দিলেন মোদী। তিনি বললেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, তা হল ভারতকে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিরক্ষা রফতানিকারকে পরিণত করা। গত এক দশকে সেই লক্ষ্যের দিকেই এগিয়েছিল আমরা। রফতানির পরিমাণও বেড়েছে ৩০ গুণ।’
