নয়া দিল্লি: ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপরও কেন ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) ছবি? এই প্রশ্ন তুলেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তার জেরেই এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) কাছে জবাব চাইল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এভাবে সরকারি নথিতে মোদীর ছবির ব্যবহার নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ করেছে। এই অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। শুধু করোনা টিকার শংসাপত্রেই নয়, পেট্রোল পাম্প এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি নিয়েও আপত্তি তোলেন তাঁরা।
আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিমে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ভোট প্রচারে বিজেপির মুখ। তিনিই জনসভায় গিয়ে দলের সমর্থন চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে মোদীর মুখ ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করা চেষ্টা চলছে।
এই অভিযোগের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয় কমিশন। বুধবারই নির্বাচনমুখী সমস্ত রাজ্যের পেট্রোল পাম্প থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। জ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছ থেকেও এ নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
টুইটারে এই অভিযোগ নিয়ে প্রথমেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি করোনা টিকার নথিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নির্লজ্জের মতো।’
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকারি প্রকল্প যদি ভোটের আগে ঘোষণা হয়, তাহলে সেটা ভোট ঘোষণার পরও বজায় থাকে। নির্বাচন কমিশনের বিষয়টা দেখা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রবিবার ব্রিগেডে মোদী, দেখে নিন কী ভাবে সাজছে ব্রিগেড মঞ্চ
আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে কমিশন। নিয়ম মাফিক ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যায়। তার পরেও বিজেপি-র প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল।