জ্যোতির্ময় রায়: ফের কঠোর অবস্থান দিল্লি হাইকোর্টের (High Court of Delhi)। রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে মহামারীর ওষুধ সংগ্রহ করে রাখা ও বিতরণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল সোমবার। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের ওষুধ মজুত করার কোনও অধিকারই নেই। যদি তাঁরা জনস্বার্থের কথা ভেবেই এমনটা করেন, তা হলে বলব ডিরেক্টর জেনারেল হেলথ সার্ভিসেসের (DGHS) কাছে তা মজুত করার ব্যবস্থা করুন। তারাই প্রয়োজনমত ওষুধ বিতরণ করবে।”
সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাবিফ্লু’ ওষুধ মজুত করার অভিযোগ ওঠে। বেআইনি ভাবে তা তিনি মজুত করেন বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। গম্ভীর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে তা বিনামূল্যে বিতরণের কথা ঘোষণা করেন। তা থেকেই দানা বাঁধে বিতর্ক। যেখানে দিল্লির হাসপাতালগুলি প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেনের অভাবে হাহাকার করছে, সেখানে কী ভাবে একজন সাংসদ ব্যক্তিগত ভাবে এই ওষুধ মজুত করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে কাটিয়ে বেরোলেন মমতা, কনভয় গেল নবান্নর দিকে
এদিন আদালত প্রশ্ন তোলে, “ওষুধের আকাল চলাকালীনও কী ভাবে তিনি এত সংখ্যক ওষুধ মজুত করলেন।” একই অভিযোগ ওঠে হরিশ খুরানা ও কংগ্রেসের শ্রীনিবাস বিবির বিরুদ্ধেও। ডঃ দীপক সিং সম্প্রতি পিটিশন দাখিল করেন আদালতে। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের কাছে ওষুধ জমিয়ে রেখে দিচ্ছেন। এখানে মেডিক্যাল মাফিয়া ও রাজনীতিকদের একটি আঁতাত কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ।
এদিন আদালত দিল্লি পুলিশকেও কঠোর ভাবে জানায়, কোনও রাজনৈতিক নেতা যদি মানুষকে ওষুধ দেবে বলে আশ্বস্ত করে, পুলিশকে খুঁজে বের করতে হবে এই ওষুধ তিনি পেলেন কোথা থেকে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে পুলিশের যা ধর্ম তা পালন করতেও নির্দেশ দেয় আদালত। হাইকোর্ট জানায়, দিল্লি পুলিশ ওষুধ মজুত করার অভিযোগের সঠিক তদন্ত করুক। হাইকোর্ট দিল্লি পুলিশকে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৪ মে ফের এই মামলার শুনানি হবে।