নয়া দিল্লি: করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল, অর্থাৎ শুক্রবার শেষ দফা ভোটের আগে রাজ্যে একদিনে চারটি সভা করার কথা ছিল তাঁর। তবে দেশ জুড়ে গত কয়েকদিনে করোনার সংক্রমণ যে বীভৎস আকার ধারণ করেছে, সেই কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকের কারণেই একসঙ্গে চারটি সভাই বাতিল করেছেন তিনি। এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে নমোর দফতর সূত্রে।
টুইট করে নিজেই তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, আগামিকাল দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত যে একপ্রকার নজিরবিহীন এবং অর্থবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন একটা সময় যখন দেখে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ এবং রাজ্যের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে, তখন বারংবার প্রশ্ন উঠছিল, কেন রাজনৈতিক প্রচারে রাশ টানা হবে না। তারপরই কার্যত পদপ্রদর্শকের ভূমিকা নিয়ে নিজের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করলেন মোদী। এবং রাজনৈতিক মহলের মতে, কোথাও গিয়ে আরও একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দিতে চাইলেন তিনি। তা হল, রাজনৈতিক প্রচারের থেকেও দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই মুহূর্তে বেশি ভাবিত।
Tomorrow, will be chairing high-level meetings to review the prevailing COVID-19 situation. Due to that, I would not be going to West Bengal.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 22, 2021
আরও পড়ুন: এভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, কমিশন কী করছে! ভোটপ্রচারে লাগামছাড়া জমায়েত নিয়ে চরম অসন্তোষ হাইকোর্টের
আগামিকাল রাজ্যে মোট চারটি সভা করার কথা ছিল মোদীর। মালদা, মুর্শিদাবাদ, সিউড়ি এবং কলকাতায় তাঁর সভা হওয়ার কথা ছিল। তাঁর সফর এবং চারটি সভা বাতিল হয়ে গিয়েছে। যদিও বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, চারটি সভার পরিবর্তে আগামিকাল বিকেল ৫ টায় একটি ভার্চুয়াল সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ফলে যে গোটা দেশের পাশাপাশি বঙ্গবাসীর কাছেও একটি ইতিবাচক বার্তা যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে জমায়েত এড়ানো যে বিশেষভাবে জরুরি, তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বাগদায় চলল গুলি, অভিযোগ এ বার পুলিশের বিরুদ্ধে, আহত এক গ্রামবাসী