Punjab: ‘নয়া সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন সিধুর পরামর্শদাতা?

Punjab Congress Infighting: সিধুর ইস্তফার পরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং তাঁকে বিশ্বস্ত নন বলে আক্রমণ করেন। এর জবাবেই নভজ্য়োত সিং সিধুর পরামর্শদাতা  সুরিন্দর দাল্লা বলেন, "উনি নিশ্চয়ই এইধরনের কথা বলার সময় বিভ্রান্ত ছিলেন। সিধু কখনওই লড়াই ছাড়েন না।"

Punjab: 'নয়া সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল', কীসের ইঙ্গিত দিলেন সিধুর পরামর্শদাতা?
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 7:41 AM

নয়া দিল্লি: নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে অসন্তোষের জেরেই যে কংগ্রেস(Congress)-র প্রদেশ সভাপতির পদ ছেড়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu), তা ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হচ্ছে। সিধুর ইস্তফার পরই তাঁর এক পরামর্শদাতা বললেন, “চরণজিৎ সিং চন্নির অধীনে নতুন পঞ্জাব সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সতর্ক হওয়া উচিত ছিল এবং এই দরনের সংকট যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই দিকটিও নিশ্চিত করার দায়িত্বভার ছিল।”

অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)-র ইস্তফার পরই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন নভজ্যোত সিং সিধু। সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন দলিত শিখ নেতা চরণজিৎ সিং চন্নি (Charanjit Singh Channi)।  মুখে কিছুি না বললেও দলের অন্দরে গুঞ্জন ছিল যে এই সিদ্ধান্তে অখুশি সিধু। অবশেষে মঙ্গলবার তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।

সিধুর ইস্তফার পরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং তাঁকে বিশ্বস্ত নন বলে আক্রমণ করেন। এর জবাবেই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা নভজ্য়োত সিং সিধুর পরামর্শদাতা  সুরিন্দর দাল্লা বলেন, “উনি নিশ্চয়ই এইধরনের কথা বলার সময় বিভ্রান্ত ছিলেন। সিধু কখনওই লড়াই ছাড়েন না। সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে যে কোনও রাজনৈতিক দল বা নির্বাচিত প্রতিনিধির সবথেকে বড় কাজ হচ্ছে নিজের রাজ্যের সমস্যাগুলির সমাধান করা।”

নয়া মন্ত্রিসভায় এস এস রানধায়ার স্থান হওয়ায়, সিধু বিরোধিতা করেছিলেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর পরামর্শদাতা বলেন, “প্রশ্নটা এটা নয় যে কে মন্ত্রিত্ব পাবে, বরং প্রথম দিনেই যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে কাজ এগিয়েছে কিনা, সেটাই মূল আলোচ্য বিষয়।”

অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গেও নভজ্যোত সিং সিধুর কোনও ব্যক্কিগত শত্রুতা নেই বলেই জানান তিনি। রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে নতুন সরকার কাজ করছে কিনা, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল ওবং সরকারের একই রেখা অনুসরণ করে চলা উচিত ছিল। যদি ক্যাপ্টেন সাব নিজেই নিয়ম মেনে চলতেন, তবে সমস্যা থাকতো না। যদি রাজ্যের নেতৃত্বভার বদলানোর পরও নতুন সরকার সেই নিয়ম না মানে, তবে দলের কর্মীরা তো ক্ষুব্ধ হবেই। এটা হওয়ারই ছিল।”

সিধুর ইস্তফা প্রসঙ্গে সুরিন্দর দাল্লা বলেন, “এই বিষয়ে আমার কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। যদি আমরা দলের নীতি মেনে কাজ না করি, তবে রাজ্য সভাপতি সাধারণ মানুষদের কী বলবেন? তবে আমার মনে হয়, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সাধারণ মানুষের ভাবাবেগের কথা চিন্তাভাবনা করা উচিত।”