Murder Case: ঘুমন্ত স্বামীর পাশেই এক খাটে পড়শির সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা স্ত্রীর, চোখ খুলতেই যা হল…
Crime News: হরিপ্রসাদ শর্মা নামক ওই ব্যক্তি জানান, রাত দুটো নাগাদ তাঁর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখেন পুত্রবধূর ঘরে লাইট জ্বলছে। ঘরের ভিতর থেকে ভেসে আসছে অশ্লীল শব্দ। উকি দিতেই দেখতে পান, পড়শি ভোলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় বৌমা। তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন বৃদ্ধ।
জয়পুর: স্বামী-স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে সুখী পরিবার। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেই এক বাড়িতে থাকতেন সকলে। হঠাৎই একদিন উধাও হয়ে গেলেন যুবক। পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেও খোঁজ মিলল না তাঁর। এভাবেই দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছিল পাঁচ মাস। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সকলে। ভেবেছিলেন, ছেলেই হয়তো বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। এভাবেই কাটছিল দিন। হঠাৎ একদিন মধ্যরাতে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন শ্বশুর। ঘরের বাইরে বেরিয়ে দেখেন, উপরে বৌমার ঘরে আলো জ্বলছে। এত রাতে কী করছে বৌমা, তা দেখতেই উকি দিয়েছিলেন শ্বশুরমশাই। যা দেখলেন, তাতে আঁতকে উঠলেন। দেখতে পেলেন, পড়শির ছেলের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে বৌমা। হাতেনাতে ধরতেই হুমকি দিলেন প্রেমিক, বললেন “মুখ বন্ধ না রাখলে বৃদ্ধের পরিণতিও তাঁর ছেলের মতোই হবে”।
পড়শির মুখে এই কথা শুনেই আঁতকে ওঠেন বৃদ্ধ। তাহলে কী বৌমা ও তাঁর প্রেমিক মিলেই…। আর দেরী করেননি তিনি, ভোর হতেই খবর দেন পুলিশে। বৌমার বিরুদ্ধে আনেন খুনের অভিযোগ। পরে পুলিশি জেরায় উঠে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী, সেই কারণেই পথের কাটা সরিয়ে দেয় দুইজন মিলে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভরতপুর জেলার নুহ গ্রামে। পবন শর্মা নামক ওক ব্যক্তি ২০২২ সালের ২৯ মে খুন হন। কিন্তু তাঁর দেহ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এভাবেই ৫ মাস কেটে যায়। তবে পর্দাফাস হয়ে যায় অক্টোবর মাসে। মধ্যরাতে বাড়িতেই পড়শির ছেলের সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় ধরে ফেলেন শ্বশুর।
হরিপ্রসাদ শর্মা নামক ওই ব্যক্তি জানান, রাত দুটো নাগাদ তাঁর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখেন পুত্রবধূর ঘরে লাইট জ্বলছে। ঘরের ভিতর থেকে ভেসে আসছে অশ্লীল শব্দ। উকি দিতেই দেখতে পান, পড়শি ভোলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় বৌমা। তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন বৃদ্ধ। বাড়ির লোককে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলতেই পড়শি যুবক হুমকি দেয়, তিনি মুখ খুললে, তার অবস্থাও ছেলের মতোই হবে। ব্যাস, সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে এই হুমকিতে ভয় পাননি বৃদ্ধ। ভোর হতেই পুলিশে খবর দেন তিনি। গ্রেফতার করা হয় রীমা ও তাঁর প্রেমিক ভোলাকে।
জেরায় জানা যায়, রীমা তাঁর স্বামী পবনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁর মদ্যপান নিয়েও আপত্তি ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে এই নিয়ে অশান্তিও হচ্ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। এই সময়েই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় প্রতিবেশী যুবকের। ভোলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁদের অবৈধ সম্পর্ক যাতে কেউ না জেনে যায়, তার জন্য রীমা রাতে পরিবারের সকলের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতেন। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, পাঁচিল টপকে আসত ভোলা। ভোর হওয়ার আগেই আবার চলে যেত।
২০২২ সালের ২৯ মে একই কাজ করেছিলেন রীমা। স্বামী পবন খাটে ঘুমোচ্ছিলেন, তাঁর পাশেই প্রেমিক ভোলার সঙ্গে যৌনতায় মেতে ওঠেন রীমা। কিন্তু তাঁদের শীৎকারে ঘুম ভেঙে যায় পবনের। চোখ খুলেই স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখেই হুঁশ হারান পবন। বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। কিন্তু রীমা ও ভোলা মিলে তাঁর গলায় চাদর পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে বাড়ি থেকে হাফ কিলোমিটার দূরে একটি খালের মধ্য়ে পবনের দেহ ফেলে দেয়। মৃতদেহ যাতে ভেসে না ওঠে, তার জন্য দেহের সঙ্গে ভারী পাথরও বেঁধে দিয়েছিলেন। পাঁচ মাস এমনভাবেই চলছিল, কিন্তু শ্বশুরের হাতে ধরা পড়তেই তাদের সব কীর্তি ফাঁস হয়ে যায়।