অযোধ্যা: দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রাম মন্দিরের। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বালক রামের মূর্তি, যা তৈরি করেছে অরুণ যোগীরাজ। একদিকে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আনন্দে আপ্লুত ভক্তরা। অন্যদিকে শিল্পীর তৈরি মূর্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কৃষ্ণশীলা খোদাই করে এমন স্বর্গীয় সৌন্দর্য কীভাবে আনলেন শিল্পী, সেই প্রশ্নও করছেন অনেকে। তবে অরুণ যোগীরাজ জানিয়েছেন, মূর্তি কেমন হবে সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারনাও ছিল না। তাহলে কীভাবে তৈরি করেছিলেন মূর্তি?
রাম মন্দির তৈরির সময় এগিয়ে আসছিল, কিন্তু মূর্তির মুখ কেমন হবে, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না যোগীরাজ। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর দীপাবলির সময় তিনি গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। তখনই এক অদ্ভুত বিষয় হয়। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, অযোধ্যায় সেই সময় কয়েকজন শিশুকে দেখেছিলেন তিনি। তাঁদের মুখ দেখার পরই রামের মুখ সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরি হয় তাঁর।
তবে চোখ তৈরি করাটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যোগীরাজ জানিয়েছেন, মাত্র ২০ মিনিটই নাকি ছিল শুভ সময়। তার মধ্যেই চোখ তৈরি করতে হত। সেটাই করেছিলেন অরুণ যোগীরাজ।
যে কয়েকদিন ধরে রামলালার মূর্তি তিনি তৈরি করেছিলেন, সে কদিন নাকি রাতে বারবার জেগে উঠতেন শিল্পী। তিনি অনুভব করতেন রামলালা তাঁকে ডাকতেন। পরে যখন তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বেছে নেওয়া হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন তিনি।
আপাতত তাঁর তৈরি মূর্তি দেখতেই দলে দলে ভিড় করছেন ভক্তরা। খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁকে ওই মূর্তি তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল। কেমন হবে সেই মূর্তি, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।