হায়দরাবাদ: তিনজনই নামী রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্মী। অফিসের কাজেই গাড়িতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। দুই পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে মাদক খাইয়ে গাড়ির মধ্যেই গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন সংস্থার মহিলা কর্মী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতভর নির্যাতনের পর সকালে তাঁকে বেসরকারি হস্টেলের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত ৩০ জুন ঘটনাটি ঘটে হায়দরাবাদে।
উপ্পল থানায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। পরে মিয়াপুর থানার তদন্তভার নেয়। ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী কর্মীকে হস্টেল থেকে গাড়িতে তুলেছিলেন দুই সহকর্মী। একটি সাইট ভিজিটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। সেখান থেকে হায়দরাবাদে ফেরার সময় আচমকাই গাড়ি থামান ওই দুই কর্মী। এরপর তরুণীকে প্রথমে খাবার ও পরে মিষ্টি খেতে দেন তাঁরা। তরুণী খাবার খেতে রাজি না হলেও, মিষ্টি খেয়ে নেন। এরপরই অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি।
অভিযোগ, ওই অবস্থায় তরুণীকে আরও বেশি করে মিষ্টি খাওয়ানো হয়, সঙ্গে সফট ড্রিঙ্ক। তারপর কার্যত অজ্ঞান হয়ে যান তরুণী। এরপর দুই সহকর্মী মিলে তাঁর পোশাক খুলে ধর্ষণ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ। রাতভর চলে অত্যাচার। প্রায় ভোর ৩ টে পর্যন্ত গাড়ির মধ্যেই নির্যাতনের পর তাঁকে হস্টেলের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বর্তমানে বহু তরুণী কর্মসূত্রে রাতে বাড়ি ফেরেন। সহকর্মীর সঙ্গে গাড়িতে যাতায়াতও করেন অনেকেই। একটি নামী সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন ওঠায় আতঙ্কিত মহিলা কর্মীরা।