CJI BR Gavai Retirement: ‘একটাই অনুশোচনা…’, ফেয়ারওয়েল পার্টিতে ‘অপূর্ণ ইচ্ছার’ কথা বললেন গবাই
CJI BR Gavai: গবাইয়ের কথায়, ‘আমার একটাই দুঃখ, নিজের সময়কালে কোনও মহিলা বিচারপতি নিয়োগ করিয়ে দিয়ে যেতে পারলাম না। আমি অনেকের নাম সুপারিশ করেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েক মহিলা আইনজীবীর নামও সুপারিশ করেছিলাম।’ উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি যখন এই নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তখন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম হবু মহিলা প্রধান বিচারপতি বিভি নাগারত্ন।

নয়াদিল্লি: হাতে গুনে ১৯৪ দিন। এই ছিল দেশের ৫২ তম প্রধান বিচারপতি বিআর গবাইয়ের কার্যকালের মেয়াদ। কিন্তু এই সময়কালে একটাও মহিলা বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করতে পারেননি তিনি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত তাঁর ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে এই অনুশোচনার কথাই তুলে ধরলেন প্রধান বিচারপতি। এরপর আজ অর্থাৎ রবিবার তাঁর কার্যকালের শেষ দিন। এবার পালা অবসর গ্রহণের।
প্রধান বিচারপতির ক্ষোভ
নিজের সময়কালে মোট ৫২ জন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করেছেন দেশের ৫২ তম প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই। কিন্তু এনারা প্রত্যেকেই পুরুষ। গবাইয়ের কথায়, ‘আমার একটাই অনুশোচনা রয়ে গেল, নিজের সময়কালে কোনও মহিলা বিচারপতি নিয়োগ করিয়ে দিয়ে যেতে পারলাম না। আমি অনেকের নাম সুপারিশ করেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন মহিলা আইনজীবীর নামও সুপারিশ করেছিলাম।’ উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি যখন এই নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তখন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম হবু মহিলা প্রধান বিচারপতি বিভি নাগারত্ন।
দেশের বিচারব্যবস্থায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বরাবরই একটা দগ্ধ ইস্যু। বর্তমানে খোদ সুপ্রিম কোর্টে মহিলা বিচারপতি বলতে রয়েছেন শুধু একজনই। তিনি হলেন বিভি নাগারত্ন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের জন্য প্রধান বিচারপতিরা মোট ৮৬৫ জনের নাম সুপারিশ করেছেন। যাঁদের মধ্যে মাত্র ১১৫ জন মহিলা। একই অবস্থা দেশের হাইকোর্টগুলোতেও।
প্রসঙ্গত, ৫২ তম প্রধান বিচারপতির ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হবু প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। দেশের শীর্ষ আদালতে বর্তমানে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বিচারপতি তিনিই। সেই সুবাদেই ৫৩ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে মানা করতে পারিনি। পাশাপাশি বার কাউন্সিলে মহিলা সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
