অবসর নেওয়ার পরই যত গণ্ডগোল, প্রেমিকের কথা জেনে ফেলেছিল স্বামী! প্রাক্তন সেনাকর্মীকে ৬ টুকরো করে নদীতে ভাসাল স্ত্রী
Murder Case: ১০ মে স্বামীর নিখোঁজ ডায়েরি করেন মায়া দেবী। বলেন যে বিহারের বক্সার রেল স্টেশন থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বামী। তাঁর ফোনও সুইচ অফ।

লখনউ: ফের মিরাট কাণ্ডের ছায়া, পরকীয়া জেনে ফেলায় স্বামীকে খুন করল স্ত্রী। প্রেমিকের মদতেই স্বামীর দেহ কুচি কুচি করল স্ত্রী। নিহত ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর প্রেমিক এবং দুইজন সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশেই। বাহাদুরপুরের বাসিন্দা মায়া দেবী (৫০)-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল অনিল যাদব নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। সম্প্রতিই তাদের এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন মায়া দেবীর স্বামী দেবেন্দ্র কুমার। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী।
স্বামী জানতে পারার পরই বাধা দেন। এটা পছন্দ হয়নি মায়াদেবীর। প্রেমিক অনিলের সঙ্গে তিনি পরিকল্পনা করেন স্বামীকে খুন করার। পরিকল্পনা মাফিকই তারা খুন করে দেবেন্দ্র কুমারের দেহ ছয় টুকরো করে এবং বালিয়া জেলার বিভিন্ন নদীর পাড়ে গিয়ে ফেলে আসে।
১০ মে স্বামীর নিখোঁজ ডায়েরি করেন মায়া দেবী। বলেন যে বিহারের বক্সার রেল স্টেশন থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বামী। তাঁর ফোনও সুইচ অফ।
ওইদিনই আবার খারিদ গ্রামের কাছে নদীতে কাটা হাত ভেসে আসে। দুই দিন পর কাছের একটি কুয়ো থেকে আবার কাটা ধড় উদ্ধার হয়। এরপরই ঘাগড়া নদীতে ডুবুরি নামায় পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাটা মুণ্ড উদ্ধার হয়নি। এদিকে, পুলিশি জেরায় কয়েকদিন পর ভেঙে পড়েন মায়া দেবী। অপরাধ স্বীকার করে নেন। প্রেমিক ও তার দুই সহযোগী, যারা খুন করতে এবং দেহ লোপাট করতে সাহায্য করেছিল, তাদের নামও জানান। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। অনিল পালানোর চেষ্টা করায়, পুলিশ তাঁর পায়ে গুলি চালায়।





