Supreme Court: CISF-এর থাকার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে, ‘সব দেওয়ার পরও বলা হচ্ছে দেয়নি’, বললেন মমতা
Mamata Banerjee: সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে সিআইএসএফের থাকার বন্দোবস্তের সমস্যা মেটাতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য সরকারের কোনও একজন সিনিয়র অফিসার সিআইএসএফ আধিকারিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।
নয়া দিল্লি: অবিলম্বে সিআইএসএফ বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা করা হোক। আরজি কর মামলায় সোমবার রাজ্যকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এদিন সিআইএসএফ-এর থাকার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “আরজি করে তিন কোম্পানি মহিলা সিআইএসএফ (CISF) মোতায়েন করা আছে। তাঁদের থাকার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। যাতায়াত করতে দেড় ঘণ্টা করে সময় লাগছে।”
এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় থাকছেন সেই সিআইএসএফ সদস্যরা।’ উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, বেশিরভাগ জওয়ান হাসপাতালেই থাকছেন। কয়েকজন বাইরে থাকছেন। তুষার মেহতা বলেন, ‘সিআইএসএফ-এর সঙ্গে কিছু ঘটলে আমাকে দায়ী থাকতে হবে।’ কপিল সিব্বল জানান, তিন কোম্পানির মধ্য়ে দুই কোম্পানির থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অবিলম্বে সিআইএসএফ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি উল্লেখ করেছেন, আরএমএ কোয়ার্টার, আরজি কর কলেজ ও ইন্দিরা মৈত্রী সদনে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে সিআইএসএফের থাকার বন্দোবস্তের সমস্যা মেটাতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য সরকারের কোনও একজন সিনিয়র অফিসার সিআইএসএফ আধিকারিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিআইএসএফ-এর থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপরও এই সব দাবি করে আসলে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মমতা। তিনি জানান, সিআইএসএফ মোতায়েন করার খবর পেয়েই ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়ে ইন্দিরা হাসপাতাল ও একটি প্রাথমিক স্কুল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। মমতা বলেন, “এখন বলছে কমিউনিটি হলগুলো দিয়ে দাও। তাহলে এলাকার মানুষ অনুষ্ঠান করবে কোথায়।” মুখ্যসচিবকে বলেন, “আরজি করের পাশে যে জায়গা পড়ে আছে, যদি বলেন সেখানে খাট পেতে জায়গা করে দিচ্ছি। কিন্তু একটা কনজেস্টেড জায়গায় ২ ঘণ্টার মধ্যে জায়গা খুঁজে দেব কী করে। মুখ্যসচিবকে বলেন, দরকার হলে বাস ব্যবস্থা করে দিন। তাতে যাতায়াত করতে পারবেন। পোশাক চাইলে দিয়ে দিন, খাবার চাইলে দিয়ে দিন। কিন্তু তাই বলে দেওয়ার পরও বলবে দেওয়া হয়নি, সেটা হবে না।”