Rural Rejuvenation by Sadhguru: স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে পুষ্টি, ২১ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে চলছে সদগুরুর এই বিশাল কর্মকাণ্ড

Jul 17, 2024 | 5:11 PM

Rural Rejuvenation by Sadhguru: দেশের ৫ বছরের কম বয়সী ৭০ শতাংশ শিশু ও ৫০ শতাংশ মহিলার অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগে। ৮০ শতাংশ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভোগে ও কোনও সাহায্য পায় না। তাঁদের কথা ভেবেই এই প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছিল।

Rural Rejuvenation by Sadhguru: স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে পুষ্টি, ২১ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে চলছে সদগুরুর এই বিশাল কর্মকাণ্ড
গ্রামে পরিষেবা সদগুরুর
Image Credit source: twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: সরকার ও প্রশাসন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিলেও এখনও দেশের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছয়নি উন্নয়নমূলক পরিষেবা। খাবারের জোগান না থাকায় রয়েছে পুষ্টির অভাব, শিক্ষার আলো পৌঁছয়নি ঘরে ঘরে, অনেকেই জানেন না আধুনিক চিকিৎসা কেমন। সাধারণ হেল্থ চেক আপের সুযোগটুকুও পান না তাঁরা। সেই সব অঞ্চলের কথা মাথায় রেখে সদগুরু নিয়েছিলেন এক বিশেষ উদ্যোগ। আর সেই উদ্যোগের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ ভারতের অন্তত ৭৫০০ গ্রামে। ‘অ্যাকশন ফর রুরাল রেজুভেনশন’ শিরোনাম গ্রামোন্নয়নের সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত যে সব সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেগুলির সমাধানের জন্যই সদগুরু এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বছর কয়েক আগেই শুরু হয়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের কাছে চিকিৎসা সহ একাধিক পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে সেই উদ্যোগ।

প্রায় ২১ বছর কেটে যাওয়ার পর বহু মানুষের জীবনধারা পাল্টে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। দেশের ৫ বছরের কম বয়সী ৭০ শতাংশ শিশু ও ৫০ শতাংশ মহিলার অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগে। ৮০ শতাংশ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভোগে ও কোনও সাহায্য পায় না। তাঁদের কথা ভেবেই এই প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছিল।

সদগুরু ২০০৩ সালে এই উদ্যোগ শুরু করেন। এর মাধ্যমে দরজায় দরজায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। প্রতি সপ্তাহে গর্ভবতী মহিলাদের পৌঁছে দেওয়া হয় সঠিক পুষ্টিযুক্ত খাবার। এছাড়া ৭ বছরে ১৩৭৮ টন আবর্জনা তোলা হয়েছে। এছাড়া আদিবাসী মহিলারা নিজেরা ব্যবসা করে রোজগার করতে পারছেন। তাঁদের জন্য যোগা, নাচ সহ বিভিন্ন শরীরচর্চাও শেখানো হয়েছে।

গ্রামের মহিলারা মনসংযোগ করছেন বিভিন্ন খেলাধুলায়। বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাতে হবে, সেটাও শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে কার্যত স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন গ্রামের মহিলারা।

Next Article