অপূর্ণ দাবি নিয়ে দিল্লিতে হাজির পাইলট, ভাঙন রুখতে ‘আশা’ মেটানোর আশ্বাস কংগ্রেসের
শুক্রবার রাতেই দিল্লি এসে পৌঁছন সচিন পাইলট। শনি কিংবা রবিবার তিনি কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
নয়া দিল্লি: জীতিন প্রসাদের বিজেপিতে যোগদানের পরই ফের একবার চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন সচিন পাইলট। বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি দিল্লিতে হাজির হলেন শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য। সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে সচিন পাইলট যে ক্ষোভ পুষে রেখেছেন, তা সমাধান করার চেষ্টাই হবে সপ্তাহ শেষের বৈঠকে।
সূত্র অনুযায়ী, শুক্রবার রাতেই দিল্লি এসে পৌঁছন সচিন পাইলট। শনি কিংবা রবিবার তিনি কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীরও, কারণ গতবারও তিনিই সচিনকে দলত্যাগ করা থেকে আটকেছিলেন।
চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেসের দীর্ঘ ২০ বছরের কর্মী জীতিন প্রসাদ বিজেপিতে যোগদানের পরই সচিন পাইলটও বিজেপিতে যোগদান করবেন, এই জল্পনা তৈরি হয়। উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশীও দাবি করেন যে তিনি সচিন পাইলটের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং শীঘ্রই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। এর জবাবেই জয়পুরে সচিন পাইলট বলেন, “আমিও শুনেছি উনি (রীতা বহুগুণা) বলেছেন যে উনি নাকি সচিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। হতে পারে উনি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে কথা বলেছেন। কারণ আমার সঙ্গে কথা বলার সাহস নেই।”
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিবাদ সকলেরই জানা। গতবছরই দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন পাইলট। সে সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষমহলের তরফে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যেই পাইলটের সমস্যার সমাধান করা হবে। যদিও বছর পার হতে চললেও সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজস্থানের মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণ নিয়েই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি এসেছেন তিনি। সচিনের দাবি, মন্ত্রীসভায় খালি থাকা ৯টি পদের মধ্যে ৭টিই তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের দেওয়া হোক। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেও চটাতে রাজি নয় দল। তার উপর জোটসঙ্গী বিএসপিকে উপেক্ষা করলেও জোট ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সুতরাং সচিনের দাবি কতটা পূরণ করা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান কংগ্রেস কর্মীরাই।
আরও পড়ুন: ‘আতঙ্কিত হবেন না’, কোভিশিল্ডের ২ ডোজ়ের ব্যবধান নিয়ে সাফাই কেন্দ্রের