নয়াদিল্লি: গুজরাটের জেলে বসে তৈরি সইফ হামলার ছক? আপ প্রধান ও দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের মন্তব্যে জোর জল্পনা। এদিন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের হামলার ঘটনা সুর চড়ালেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে শাসক দলকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন তিনি।
এদিন কেজরীবাল জানান, ‘গুজরাটের জেলে বারবার হামলা চালিয়েও নিরাপত্তা পেয়ে যাচ্ছে একজন।’ বর্তমানে গুজরাটের সবরমতী জেলে রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। আর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে লরেন্সের বিরুদ্ধেই যে তোপ দেগেছেন আপ নেতা, এমনটাই মত অনেকের। সইফ হামলায় লরেন্সের দিকেই যেন আঙুল তুলছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতেই খুনের হুমকি পান সলমন ঘনিষ্ঠরা পরিজনেরা। প্রাতভ্রর্মণে বেরিয়ে খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমনের বাবা সেলিম খানও। আর সেই সকল ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। এমনকি, গত বছর রাজনৈতিক নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনেও নিজেদের দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং।
সইফ হামলায় লরেন্স-যোগের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেজরীবাল। তাঁর দাবি, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার নিয়ে মুম্বইয়ের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিজেপি। ষড়যন্ত্রে রাজনীতি ছেড়ে ওদের এবার উন্নয়নের কাজে মন দেওয়া উচিত।’ অবশ্য, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তাঁর কথায়, ‘এরকম একটা ঘটনার ভিত্তিতে মুম্বইকে কালিমালিপ্ত করা উচিত নয়। দেশের নিরাপদ শহরগুলির মধ্যে মুম্বই অন্যতম।’
প্রসঙ্গত, এদিন নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। চুপিসারে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। শরীরের একাধিক জায়গায় মেলে আঘাত চিহ্ন। শিরদাঁড়ার কাছে দুই জায়গায় মেলে গভীর ক্ষত। মাঝরাতে তড়িঘড়ি অভিনেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর টানা আড়াই ঘণ্টা চলে অস্ত্রোপচার। সেই অস্ত্রোপচারে তাঁর শরীর থেকে একটি তিন ইঞ্চির ধারাল বস্তু বের করা হয়েছে, বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে।