AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sanchar Saathi App: ‘মন চাইলে রাখুন, না চাইলে…’, সরকারি অ্যাপের ‘ভয়’ দূর করলেন মন্ত্রী

Sanchar Saathi App Controversy: কিন্তু জারি হওয়া সরকারি নির্দেশিকায় সেই বিষয় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই। অ্যাপ 'ডিলিটের' কোনও প্রসঙ্গ টেলিকম মন্ত্রক জানায়নি। তবে এই অ্যাপটির কাজ সীমিত কিংবা নিষিদ্ধ করার কোনও অপশনও রাখা যাবে না, সেটা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী বললেন 'অন্য কথা'।

Sanchar Saathi App: 'মন চাইলে রাখুন, না চাইলে...', সরকারি অ্যাপের 'ভয়' দূর করলেন মন্ত্রী
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াImage Credit: PTI
| Updated on: Dec 02, 2025 | 2:06 PM
Share

নয়াদিল্লি: সরকারি অ্যাপের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ বিরোধীদের। মঙ্গলবার সংসদে অধিবেশন শুরুর পূর্বে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘এই অ্য়াপ ব্যাক্তি পরিসরে হস্তক্ষেপ করবে।’ অন্যদিকে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল কটাক্ষ করলেন ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতিয়ার’ বলে। তবে এই কোনও অভিযোগই মানতে রাজি নয় বিজেপি নেতারা। এবার এই আবহেই ‘সঞ্চার সাথী’ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে দাঁড়ি টানতে নীরবতা ভেঙেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দাবি, ‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ যে কোনও মুহূর্তেই ডিলিট করা যাবে। এটা রাখা কোনও ইউজার ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যে পড়ছে। মঙ্গলবার সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এই তথ্য প্রদান করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘আপনি চাইলে অ্যাপটি সক্রিয় রাখবেন, না চাইলে রাখবেন না। এটা সম্পূর্ণ ভাবে মোবাইল ব্যবহারকারী ইচ্ছার অংশ।’

কিন্তু জারি হওয়া সরকারি নির্দেশিকায় সেই বিষয় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই। অ্যাপ ‘ডিলিটের’ কোনও প্রসঙ্গ টেলিকম মন্ত্রক জানায়নি। তবে এই অ্যাপটির কাজ সীমিত কিংবা নিষিদ্ধ করার কোনও অপশনও রাখা যাবে না, সেটা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী বললেন ‘অন্য কথা’।

মঙ্গলবার এই নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধীরা। মোবাইলে ‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চেয়ে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধরি। ‘নজরদারির’ অভিযোগ তুলেছেন সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। তাঁর দাবি, ‘এটা স্নুপিং অ্যাপ। নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে।’ যদিও কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রীর কথায়, ‘বর্তমানে দেড় কোটির বেশি মানুষ এই অ্যাপে সক্রিয় রয়েছেন। এটা তো শুধু-শুধু নয়? এই অ্য়াপের মাধ্যমে ২০ লক্ষ হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। দু’কোটির কাছাকাছি ফোনের হতে চলা প্রতারণা রুখে দেওয়া হয়েছে। না এখানে কোন কল মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে, না কোনও নজরদারি ব্যবস্থা। মন চাইলে ব্যবহার করুন, না চাইলে করতে হবে না। ডিলিট করে দিন।’