নয়া দিল্লি: আরজি কর মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও আলাদা করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট দেওয়ার পরই রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সওয়াল করেন, চিকিৎসার অভাবে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে দায়ী করেছে রাজ্য। চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেও।
প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা বজায় রেখেছেন তাঁরা। হাসপাতালের সামনে স্বাস্থ্য শিবির করে রোগী দেখছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর আগের শুনানিতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন আপাতত ‘সিজওয়ার্ক’ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কর্মবিরতিতেই অনড় থাকছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে চিকিৎসার অভাবে একাধিক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি আরজি করে শ্রীরামপুরের দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক যুবকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। গোটা বিষয়টি উল্লেখ করা হয় সুুপ্রিম কোর্টে।
এদিন স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে রাজ্যের আইনজীবী কপিল প্রধান বিচারপতিকে জানান, সিলড খামে রিপোর্ট কেবল মাত্র সুপ্রিম কোর্টকেই দেওয়া হচ্ছে। আর তারপরই চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালীন রোগী মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। সিবিআই-এর তরফে সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহেতা বললেন, রাজ্য অনেক কিছুই লুকিয়ে যাচ্ছে। কেন স্টেটাস রিপোর্ট সামনে আনা হল না? তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্য কেন স্টেটাস রিপোর্ট CBI-কে দেয়নি?
প্রধান বিচারপতি জানতে চান, আরজি কর হাসপাতাল থেকে অধ্যক্ষের বাড়ি কত দূর? রাজ্যের আইনজীবীর তরফে বলা হয়, ১৫-২০ মিনিটের দূরত্ব। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে এফআইআর করতে এত দেরি হল কেন? তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, সেটাই সিবিআই-এর কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)