AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Blackmail: বিকৃত ছবি দেখিয়ে ঠাকুরমার ৮০ লক্ষ টাকা গায়েব, পুলিশ তদন্ত করতেই বেরিয়ে এল আসল গল্প

Blackmail: ওই কিশোরী ক্লাস নাইনে পড়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একদিন স্কুলে গল্পের সময় বন্ধুদের কিশোরী জানিয়েছিল, তার ঠাকুরমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা রয়েছে। আর তার লেনদেন সে করতে পারে। স্কুলে কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।

Blackmail: বিকৃত ছবি দেখিয়ে ঠাকুরমার ৮০ লক্ষ টাকা গায়েব, পুলিশ তদন্ত করতেই বেরিয়ে এল আসল গল্প
প্রতীকী ছবি
| Updated on: Mar 05, 2025 | 5:30 PM
Share

গুরুগ্রাম: ঠাকুরমার অ্যাকাউন্টে বিশাল অঙ্কের টাকা রয়েছে। আর সেই অ্যাকাউন্টের লেনদেন সে করতে পারে। স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছিল বছর পনেরোর এক কিশোরী। কিন্তু, এর মাসুল যে এভাবে দিতে হবে, তা হয়তো সে ভাবেনি। ওই কিশোরীর বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৮০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি গুরুগ্রামের।

ওই কিশোরীর ঠাকুরমা গত বছরের ডিসেম্বরে থানায় অভিযোগ জানান যে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। অভিযোগপত্রে বছর পঁচাত্তরের বৃদ্ধা জানান, জমি বিক্রি করে তিনি বিরাট অঙ্কের টাকা পেয়েছেন। সেই টাকাই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা ছিল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন করতে পারে তাঁর ১৫ বছরের নাতনি। তার বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েকজন কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করে। এবং প্রতারকদের দেওয়া একাধিক ফোন নম্বরে ৮০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে কিশোরী।

ওই কিশোরী ক্লাস নাইনে পড়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একদিন স্কুলে গল্পের সময় বন্ধুদের কিশোরী জানিয়েছিল, তার ঠাকুরমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা রয়েছে। আর তার লেনদেন সে করতে পারে। স্কুলে কথাটা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাস টেনের এক ছাত্রের কানে পৌঁছয় কথাটি। ওই ছাত্র আবার তার দাদাকে কথাটি জানায়। তখন ওই ছাত্রের দাদা নিজের বন্ধুদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কীভাবে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করা যায়।

বছর কুড়ির ধৃত সুমিত কাটারিয়া অনলাইনে কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি বিকৃত করে। বিকৃত ছবিগুলি কিশোরীকে পাঠিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে সুমিত ও তার বন্ধুরা। কিশোরীকে জানায়, টাকা না দিলে বিকৃত ছবিগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভয়ে কিশোরী অভিযুক্তদের দেওয়া ফোন নম্বরগুলিতে অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করে।

এমনভাবে টাকা ট্রান্সফার করতে করতে একসময় অ্যাকাউন্ট প্রায় শূন্য হয়ে যায়। তখন একদিন এক অভিযুক্ত কোচিং ক্লাসে এসে কিশোরীকে হুমকি দেয়। কিশোরীকে মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে তার শিক্ষক কী হয়েছে জানতে চান। তখন ওই শিক্ষককে সব কথা খুলে বলে কিশোরী। তারপরই কিশোরীর পরিবার সমস্ত বিষয়টি জানতে পারে এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে।

তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল ষষ্ঠ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃদ্ধার ডেবিট কার্ড ও ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।