Shantanu Thakur: মমতার বেলায় আপত্তি, কীকরে মতুয়া ঠাকুরদের জয়ধ্বণি করে শপথ নিলেন শান্তনু?
Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুর 'জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ' ধ্বনি দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করা শুরু করেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আসলে, কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায়, মতুয়া সম্প্রদায়ের এই দুই ইষ্টদেবতার নামেই শপথ নিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর। ওই দিন কিন্তু, তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল।
![Shantanu Thakur: মমতার বেলায় আপত্তি, কীকরে মতুয়া ঠাকুরদের জয়ধ্বণি করে শপথ নিলেন শান্তনু? Shantanu Thakur: মমতার বেলায় আপত্তি, কীকরে মতুয়া ঠাকুরদের জয়ধ্বণি করে শপথ নিলেন শান্তনু?](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/Shantanu-Thakur.jpg?w=1280)
নয়া দিল্লি: সোমবার (২৪ জুন), থেকে শুরু হল ১৮তম লোকসভার পথ চলা। প্রথম দিন সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ২৮০ জন নবনির্বাচিত সাংসদ। তার মধ্যে বাংলায় শপথ নিলেন দুজন – শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার। দুজনেই এবার বাংলা থেকে স্থান পেয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভায়। বাংলার দুই সাংসদই এদিন, লোকসভায় বাংলা ভাষায় শপথবাক্য পাঠ করেন। তবে, শান্তনু ঠাকুর ‘জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ’ ধ্বনি দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করা শুরু করেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আসলে, কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায়, মতুয়া সম্প্রদায়ের এই দুই ইষ্টদেবতার নামেই শপথ নিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর। ওই দিন কিন্তু, তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। গত ১১ এপ্রিল বাংলা থেকে রাজ্যসভার প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতাবালা। রাজ্যসভা কক্ষে হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথবাক্য পাঠ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, আপত্তি জানান রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। প্রথমবার, হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথ নিলেও, ওই শপথবাক্য পাঠকে সেদিন মান্যতা দেননি জগদীপ ধনখড়। বলা হয়েছিল, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু। তাঁদের নামে শপথ নেওয়া যাবে না। ফলে, দ্বিতীয়বার ‘ঈশ্বরে’র শপথ নিতে হয়েছিল মমতাবালাকে।
এদিন, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর কীকরে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করলেন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, মমতাবালার বেলায় এক নিয়ম, শান্তনু ঠাকুরের বেলায় আরেক নিয়ম – এই দ্বিচারিতা কেন? তবে, এদিন লোকসভায় শপথগ্রহণের সময় শান্তনু ঠাকুর সরাসরি হরিচাঁদ বা গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথ গ্রহণ করেননি। শপথ গ্রহণ করার আগেই তিনি স্লোগান দেন, জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করা শুরু করেন তিনি। সেই সময় তিনি ঈশ্বরের নামেই শপথ গ্রহণ করেন। আর সেই কারণেই কোনও আপত্তি ওঠেনি।