Vegetable Price: বাজারে গেলেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের, দামের আগুনে জল পড়বে কবে? হতাশ মুখে পকেটে হাত মধ্যবিত্তের
Vegetable Price: দীর্ঘদিন বৃষ্টির দেখা নেই। সঙ্গে দোসর চড়া রোদ আর একটানা প্রবল ভ্যপসা গরম। এই পরিস্থিতিতে অনেক জেলাতেই বিঘের পর বিঘে জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। মাথায় হাত চাষিদের। এদিকে চাহিদার সঙ্গে জোগানে পাল্লা দিতে না পেরে সব সবজির দাম চড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
বাঁকুড়া: একটানা প্রবল দাবদাহে নষ্ট হয়েছে বিঘের পর বিঘে জমির সবজি। চাহিদার তুলনায় জোগান কমায় পটল, ঝিঙে, লাউ, কুমড়ো, শসা, করলা, টমেটো সবকিছুরই দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাত সকালে থলে হাতে বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। গোটা রাজ্যেই প্রায় একই ছবি। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক দিন ধরেই প্রায় সব সবজির দামই লাগামছাড়া। ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজিতে যে সবজি পাওয়া যেত তা কোথাও কোথাও বিকিয়েছে একেবারে একশো থেকে দেড়শো টাকায়।
দীর্ঘদিন বৃষ্টির দেখা নেই। সঙ্গে দোসর চড়া রোদ আর একটানা প্রবল ভ্যপসা গরম। এই পরিস্থিতিতে অনেক জেলাতেই বিঘের পর বিঘে জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। মাথায় হাত চাষিদের। এদিকে চাহিদার সঙ্গে জোগানে পাল্লা দিতে না পেরে সব সবজির দাম চড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আগেই আলু ছুঁয়েছিল কিলো প্রতি ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দরও হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। এবার অন্য সবজির দামের আগুনে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। কীভাবে চলবে হেঁশেল? কীভাবে পকেট সামাল দিয়ে চলবে সংসার তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছে না আম-আদমি।
এদিন সকালে বাঁকুড়া বাজারে গিয়েও দেখা গেল একই ছবি। এদিন শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে, বেগুন ১০০ টাকা, টমেটো কিলো প্রতি ১০০ টাকা, করলা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, লঙ্কা কেজি প্রতি ১২০ টাকা, লাউ কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবজির দামের এই ঊর্ধ্বগ্রাফ দেখে সাতসকালে থলে হাতে বাজার করতে গিয়ে রীতিমত মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। কবে মিলবে নিস্তার সেই প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। কেন মাঠে নামছে না টাস্ক ফোর্স? উঠছে এই প্রশ্নও। যদিও চাষিদের দাবি, বৃষ্টি হলেও অবস্থার পরিবর্তন এখনই খুব একটা হবে না। নতুন সবজি না ওঠা পর্যন্ত দামে খুব একটা হেরফের হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।