Bankura: ক্লাইমেক্সেই এন্ট্রি নিল পুলিশ, আর ঘুরে গেল সোনার দোকানের খেলা

Bankura: বৃহস্পতিবার বিশেষ সূত্রে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের কাছে খবর আসে বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার একটি বড় গহনার দোকানে ডাকাতি করার ছক কষেছে ভিন রাজ্যের একটি দুষ্কৃতী দল। বিষয়টি জানার পরই ওই এলাকায় হানা দেয় পুলিশ।

Bankura: ক্লাইমেক্সেই এন্ট্রি নিল পুলিশ, আর ঘুরে গেল সোনার দোকানের খেলা
সোনার দোকানে ডাকাতির ছকImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2024 | 4:46 PM

বাঁকুড়া: রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। আর তার মাঝেই এবার বাঁকুড়া শহরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল পড়শি রাজ্যের দুই ডাকাত। গ্রেফতার হওয়া বিহারের দুই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েকটি গুলি, একটি বাইক, ৩ টি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশেষ সূত্রে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের কাছে খবর আসে বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার একটি বড় গহনার দোকানে ডাকাতি করার ছক কষেছে ভিন রাজ্যের একটি দুষ্কৃতী দল। বিষয়টি জানার পরই ওই এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। এলাকায় তিনটি বাইকে মোট ৬ জনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরই ওই বাইকগুলিকে তাড়া করতে শুরু করে পুলিশ। দুটি বাইকে চারজন দুষ্কৃতী বাইক চালিয়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেও একটি বাইকে থাকা দুই দুষ্কৃতী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে ধৃত দুজনের নাম অজিত রায় ও রোহিত রায়। অজিতের বাড়ি বিহারের বৈশালি জেলায় ও রোহিতের বাড়ি বিহারের পাটনায়। জানা গিয়েছে, এর আগে ২০১৯ সালে বিহারের মোতিয়ারি এলাকায় একটি ব্যঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল অজিত। ২ বছর জেল খাটার পর ২০২১ সালে সে জেল থেকে ছাড়া পায়। পুলিশ ধৃত দুজনের কাছ থেকে একটি পাইপ গান ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় ৩ টি মোবাইল, বেশ কিছু নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। আটক করা হয়েছে দুষ্কৃতীদের একটি বাইকও। পুলিশের অনুমান, বাইকটি চুরি করে ভুয়ো নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছিল।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকার ওই নামী গয়নার দোকানে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যেই তারা বাঁকুড়ায় জড়ো হয়েছিল। ডাকাতি করতে আসার আগে বেশ কয়েকবার এলাকায় রেইকি করে যায় ডাকাত দলটি। রেইকি করে দলটি দোকানটির যাবতীয় খুঁটিনাটি জানার পাশাপাশি এলাকার ম্যপ তৈরি করে। ফাঁকা রাস্তাও চিহ্নিত করে রেখেছিল ডাকাতদলটি। শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের তৎপরতায় ডাকাতির ছক বানচাল হয়ে যায়।