Aditya Thackeray: ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে পা মেলালেন আদিত্য, বললেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র, সংবিধান বিপন্ন’
Bharat Jodo Yatra: ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেওয়ার কারণ হিসাবে আদিত্য ঠাকরে বলেন, "ভারত জোড়ো যাত্রা শুধু রাজনীতি নয়, তার থেকেও বেশি কিছু। এটা ভারতের চিন্তাধারাকে তুলে ধরছে।"
মুম্বই: ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra)। কন্য়াকুমারী থেকে শুরু হওয়া কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচি বর্তমানে পৌঁছেছে মহারাষ্ট্রে(Maharashtra)। এবার কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় এবার যোগ দিলেন শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে (Aditya Thackeray)। মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলিতেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেন আদিত্য ঠাকরে। দুই নেতা পাশাপাশি হাঁটেন উপস্থিত জনতার দিকে হাত নাড়তে নাড়তে।
কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ মহারাষ্ট্রে পৌঁছতেই শোনা যায় যে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোটের দুই সদস্য শিবসেনা ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিও এই যাত্রায় যোগ দেবে। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি। শিবসেনার তরফে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেন আদিত্য ঠাকরে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অম্বাদাস দানভে ও সচিন আহির। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেওয়ার কারণ হিসাবে আদিত্য ঠাকরে বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রা শুধু রাজনীতি নয়, তার থেকেও বেশি কিছু। এটা ভারতের চিন্তাধারাকে তুলে ধরছে। এই যাত্রা দেশের গণতন্ত্রের জন্য। প্রগতিশীল গণতন্ত্র একেই বলে। আজই একজন বলছিলেন আদর্শগতভাবে ভিন্ন দুটি দল একজোট হয়েছে। দলের আদর্শ ভিন্ন হলেও, দেশের জন্য একসঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করাই তো গণতন্ত্র।”
আদিত্য আরও বলেন, “আমাদের রাজ্যে ও দেশে সংবিধান ও গণতন্ত্রকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধেই আমরা একজোট হয়েছি, পথে নেমেছি। এটা ভাল গণতন্ত্রের লক্ষণ। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”
উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যের রাজনৈতিক নেতা, অভিনেতা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের তরফেও জানানো হয়েছে, যারাই ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সহমত, তারা সকলে এই যাত্রায় যোগদান করতে পারেন। ধর্ম, জাতপাত বা রাজনীতির বিরোধ নেই এই যাত্রায়।