VIDEO: রামায়ণকে হাতিয়ার করে বাঁচতে চাইছে ‘কোমায়’ থাকা শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ কি শিখবে?

Sri Lanka: প্রতিবেশী হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে একদিকে যখন ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারতকে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবি উঠছে বাংলাদেশের মাটিতে তখন আর এক প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার সেই বিজ্ঞাপন সাড়া ফেলে দিয়েছে নেট দুনিয়ায়।

VIDEO: রামায়ণকে হাতিয়ার করে বাঁচতে চাইছে 'কোমায়' থাকা শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ কি শিখবে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2024 | 5:58 PM

নয়া দিল্লি: চিনের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা করেও কোনও লাভ হয়নি, বিপদের সময় প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারতই। রীতিমতো ধুঁকছিল অর্থনীতি, দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল দেশটি। সেই সময় ভারত পাশে না দাঁড়ালে শ্রীলঙ্কার উঠে দাঁড়ানোই কঠিন হয়ে যেত। সেই শ্রীলঙ্কার বিজ্ঞাপনে এবার উঠে এল ভারতের মহাকাব্যের কথা। রাম-সীতার গল্প বলেই দেশের পর্যটন বাড়াতে চায় দক্ষিণের এই প্রতিবেশী।

আসলে যা ভারতের মহাকাব্য, তা শ্রীলঙ্কার মহাকাব্য। নাড়ি কেটে আলাদা দেশ হয়েছে বটে, রক্ত তো একই প্রবাহিত হচ্ছে শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে। যতই কূটনৈতিক প্রাচীর দেওয়ার চেষ্টা হোক না কেন, রামসেতু দিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতির আদান প্রদান কখনও আটকানো যায় না। তাই রামায়ণকে হাতিয়ার করে পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে চাইছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের বিজ্ঞাপনে উঠে এসেছে লঙ্কা-কাণ্ডের কাহিনি। দেখানো হয়েছে, এখনও আছে সেই রাম সেতু অথবা অশোক বন। রামায়নের সেই লঙ্কা অর্থাৎ শ্রীলঙ্কায় গেলেই জীবন্ত হয়ে উঠবে সে সব কাহিনি।

বিজ্ঞাপনে এক নাতি ও ঠাকুমার কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। নাতিকে বইয়ের পাতা খুলে খুলে রাম-সীতা-রাবণের গল্প শোনাচ্ছেন বৃদ্ধা। কোন গুহায় রাখা হয়েছিল সীতাকে, কোথায় গন্ধমাদন পর্বতটি রেখেছিলেন হনুমান, সে সব গল্প বলছেন আর বইয়ের পাতা থেকে ক্যামেরা পৌঁছে যাচ্ছে সেই সময় জায়গায়। বিজ্ঞাপনটি দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কোনও ভারতীয় পরিবার শ্রীলঙ্কা বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবছেন, আর সেটাই বিজ্ঞাপনের মূল গল্প।

প্রতিবেশী হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে একদিকে যখন ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারতকে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবি উঠছে বাংলাদেশের মাটিতে তখন আর এক প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার সেই বিজ্ঞাপন সাড়া ফেলে দিয়েছে নেট দুনিয়ায়।

উল্লেখ করা দরকার, শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হতে বসেছিল, সেই সময় নয়া দিল্লি থেকে ৪০০ কোটি ডলারের অর্থ সাহায্য পাঠানো হয়েছিল কলম্বোয়। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জে শ্রীলঙ্কার পাশে ভারত যেভাবে দাঁড়িয়েছিল ভারত, তার জন্যও ঋণী শ্রীলঙ্কা। ভারতের সুপারিশেই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছিল আইএমএফ।