‘মর্দানি’ কাকে বলে দেখালেন তরুণী সাব ইন্সপেক্টর! ‘ধর্ষক’ ধরতে ফেসবুকে ফাঁদ, চ্যাটিং-ডেটিংয়েই বাজিমাত

Delhi: দিল্লির ডাবরি থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা সাইনি। মহিলা সেলের সদস্য তিনি।

'মর্দানি' কাকে বলে দেখালেন তরুণী সাব ইন্সপেক্টর! 'ধর্ষক' ধরতে ফেসবুকে ফাঁদ, চ্যাটিং-ডেটিংয়েই বাজিমাত
ছবি সংগৃহীত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2021 | 7:43 PM

নয়া দিল্লি: এ এক অন্য ‘মর্দানি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ পেতে ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরলেন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, বন্ধুত্বের টোপ দিয়ে সম্পর্ক এগোনো, রেস্তোঁরায় ‘ডেট’-এর প্রস্তাব। আর তারপরই হাতে পরালেন হাত কড়া। দিল্লির এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

দিল্লির ডাবরি থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা সাইনি। মহিলা সেলের সদস্য তিনি। দিল্লি পুলিশের কাছে গত ৩০ জুলাই একটি ধর্ষণের অভিযোগ আসে। যে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, যে এখন সন্তানসম্ভবা। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আকাশ বলে এক যুবক এই ঘটনায় অভিযুক্ত।

এরপরই এই ঘটনার তদন্ত দলে যুক্ত হন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা। সংবাদসংস্থা এএনআইকে প্রিয়াঙ্কা জানান, “হাসপাতাল থেকে ফোন করে ধর্ষণের অভিযোগ জানায়। এফআইআর দায়ের হয়। এরপরই ফেসবুকে আমি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ওই ছেলেটির খোঁজ শুরু করি। জায়গা সিলেক্ট করে যতজন আকাশ পেয়েছি, ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠিয়ে গিয়েছি। অনেককে মেসেজ করেছিলাম। একমাত্র ওই ছেলেটি জবাব দিয়েছিল।” এরপরই শ্রী মাতা মন্দির এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

সেও এক কাণ্ড। ৩০ তারিখ ওই ছেলেটিকে খুঁজে পাওয়ার পরই দিনভর চ্যাট করেন দু’জন। ৩১ তারিখই অভিযুক্ত যুবককে দেখা করতে বলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে অভিযুক্তও কিছু একটা আঁচ করেছিলেন। তাই বার বার জায়গা বদলাতে থাকেন বলে সূত্রের খবর। শেষমেশ শ্রী মাতা মন্দির এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরাতে ওই যুবক জানিয়েছেন, একটি চুড়ির দোকানে কাজ করেন তিনি। গত দেড় বছরে একাধিক মেয়েকে নিজের জালে জড়িয়েছেন এই ‘রোমিও’। তবে প্রিয়াঙ্কা সাইনির ‘মর্দানি’র কাছে শেষমেশ হার মানতে হল তাঁকে। আরও পড়ুন: নিউটাউন কাণ্ড: প্রথমে শাড়ি, তারপর চুড়িদার, শেষে ‘বোল্ড’! ‘টাকা’ ঠিক করা হত শরীর দেখে