AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sukanya Mondal: কেষ্ট-কন্যার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত

Sukanya Mondal: যদিও ইডি-র তরফ থেকে অন্তর্বর্তী জামিনের বিরোধিতা করা হয়। মণীশ কোঠারির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ইডি আদালতকে জানায় গরু পাচার মামলার কোটি কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করবেন সেটা ঠিক করতেন সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর অর্থের কোনও সমস্যা নেই।

Sukanya Mondal: কেষ্ট-কন্যার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত
সুকন্যা মণ্ডল (ফাইল ছবি)। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2023 | 6:25 PM
Share

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের অন্তর্বর্তী জামিনের মামলার শুনানি শেষ। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। ১২ জুলাই রায়দান। শুনানির সময়ে সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার সওয়াল করেন, ৬ সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তী জামিন দেওয়া হোক সুকন্যাকে। তাঁর অর্থনৈতিক সঙ্কট রয়েছে। সুকন্যার আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে দেউলিয়া তিনি। মায়ের মৃত্যু হয়েছে, বাবা এবং তিনি জেলেবন্দি, কোনওরকম আর্থিক সঙ্গতি নেই।

যদিও ইডি-র তরফ থেকে অন্তর্বর্তী জামিনের বিরোধিতা করা হয়। মণীশ কোঠারির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ইডি আদালতকে জানায় গরু পাচার মামলার কোটি কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করবেন সেটা ঠিক করতেন সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর অর্থের কোনও সমস্যা নেই।

সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, সুকন্যা মণ্ডল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনি তাঁর বেতন পাচ্ছেন তো? সুকন্যা আইনজীবী জানাও, তাঁর মক্কেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি ‘এটাচ’ করে রেখেছে। এভাবে টাকা জোগাড় করা কীভাবে সম্ভব? দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। আগামী ১২ জুলাই রায়দান।

সুকন্যা মণ্ডল এর আগেও জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আত্মীয় পরিজনরা তাঁর  সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তিনি বর্তমানে অর্থ কষ্টে ভুগছেন। সেক্ষেত্রে তাঁর আদালতে মামলা লড়়ার জন্য আইনজীবীদের টাকাও দিতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে তাঁর ৬ মাসের জন্য অন্তবর্তী জামিন প্রয়োজন। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ সুকন্যার আর্জি শুনে, তার প্রেক্ষিতে ইডি-র কী বক্তব্য, তা জানতে চেয়েছিল। ইডি অবশ্য দাবি করেছিল, পাচারের কাল টাকা সাদা করার দায়িত্ব ছিল সুকন্যারই। কেষ্ট কন্যা প্রভাবশালী, তিনি জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এখনও পর্যন্ত সুকন্যার জামিনের বিষয়টি আদালতে ঝুলেই রইল।