D Y Chandrachud: ‘ধুতি-পাঞ্জাবী পরা খাদ্যরসিক বাঙালি ভদ্রলোক’, বিচারপতি বোসকে সম্ভাষণ প্রধান বিচারপতির
D Y Chandrachud: পাঁচ বছর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন বিচারপতি বসু। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বিচারপতি বসুকে বলেন, "এবার আপনি পছন্দের সিনেমা দেখার সময় পাবেন।" বিচারপতি বসু কোন কোন গান শুনতে পছন্দ করতেন, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।
নয়া দিল্লি: ‘আদ্যপান্ত একজন বাঙালি ভদ্রলোক’। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ফেয়ারওয়েলে তাঁর সম্পর্কে এভাবেই বর্ণনা করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন বিচারপতি বসু। তাঁর ফেয়ারওয়েলে ভাঙা বাংলায় বক্তৃতা দেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতির ভগবৎ গীতা সম্পর্কে জ্ঞান, ভক্তি আন্দোলন সম্পর্কে পড়াশোনার কথাও উল্লেক করেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু সুপ্রিম কোর্টের আগে কলকাতা হাইকোর্ট ও ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টেও বিচারপতি ছিলেন।
“উনি একজন ভাল শ্রোতা, একজন সত্যিকারের বুদ্ধিজীবী। সাহিত্য, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম ও দর্শন সম্পর্কে ওঁর অনেক জ্ঞান আছে। মধ্যযুগের ভক্তি আন্দোলনের প্রভাব সম্পর্কে গভীর ধারণা আছে। গীতা ও রামকৃষ্ণ কথামৃত ওঁর প্রিয় বই। বাঙালি হতে হলে অতি অবশ্যই ধুতি পাঞ্জাবী পরতে হয় আর খাদ্যরসিক হতে হয়। দুটি গুণই আছে ওঁর।”
বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারপতি বসু যে প্রযুক্তির ব্যবহার পছন্দ করতেন, সেটাও এদিন উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। কারণ তিনি বিচারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা পছন্দ করতেন। তিনি আরও জানান, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি থাকাকালীন কিছু বিরল ক্ষেত্রে ভিডিয়ো ও অডিয়ো রেকর্ডিং-এ সম্মতি দিয়েছিলেন তিনি।
পাঁচ বছর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন বিচারপতি বসু। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বিচারপতি বসুকে বলেন, “এবার আপনি পছন্দের সিনেমা দেখার সময় পাবেন।” বিচারপতি বসু কোন কোন গান শুনতে পছন্দ করতেন, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। সব শেষে সপ্তপদীর গানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত…।’
গত ১০ এপ্রিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু অবসর নেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে।