AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court CJI: প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার ঘটনায় অবমাননা মামলা দায়েরে সায় নেই সুপ্রিম কোর্টের, কেন?

Supreme Court News: এরপরই এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে একটি অবমাননা মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্য়াসোসিয়েশন। সোমবার ছিল তার শুনানি। এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, 'ওই আইনজীবী এই গোটা ঘটনাটিকে মিডিয়ার সামনে বেশ মাহাত্ম্যের সঙ্গে তুলে ধরছেন। এটি যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্যই আদালতের উচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।'

Supreme Court CJI: প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার ঘটনায় অবমাননা মামলা দায়েরে সায় নেই সুপ্রিম কোর্টের, কেন?
দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাইImage Credit: PTI
| Updated on: Oct 27, 2025 | 7:28 PM
Share

নয়াদিল্লি: দেশের প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার ঘটনায় অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপে সায় নেই সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে চলছিল শুনানি। সেখানে মামলা করার বিপক্ষে সায় দিল বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিস জারি করলে, তাঁকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং মানুষের মনেও এই ঘটনার স্থায়িত্ব বাড়বে।’

গত ৬ই অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাইয়ের দিকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার চেষ্টা করেন রাকেশ কিশোর নামে ৭১ বছরের এক আইনজীবী। প্রধান বিচারপতিকে ‘সনাতন-বিরোধী’ বলে দাগিয়ে দেন তিনি। অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রধান বিচারপতির দিকে ওই অভিযুক্ত জুতো ছু়ড়লেও তা তার গায়ে লাগেনি।

এরপরই এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে একটি অবমাননা মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্য়াসোসিয়েশন। সোমবার ছিল তার শুনানি। এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, ‘ওই আইনজীবী এই গোটা ঘটনাটিকে মিডিয়ার সামনে বেশ মাহাত্ম্যের সঙ্গে তুলে ধরছেন। এটি যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্যই আদালতের উচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’

অবশ্য বিচারপতি সূর্য কান্তের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রধান বিচারপতি ওনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ওনার বিরুদ্ধে কি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়?’ যার পাল্টা বার অ্য়াসোসিয়েশনের আইনজীবীর যুক্তি, ‘প্রধান বিচারপতির ক্ষমা করার ঘটনাটি তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্য়ে পড়ে। এটি কোনও প্রতিষ্ঠানকে আবদ্ধ করতে পারে না। মানুষ এই ঘটনা নিয়ে রসিকতা করছে। যদিও তাঁর অনুশোচনা না থাকে, তা হলে তাঁকে এখান থেকে জেলে পাঠানো হবে।’ ডিভিশন বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা নিঃসন্দেহে আদালত অবমাননার মামলার সামিল। কিন্তু ওই অভিযুক্তকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনটাই বা কী? এই ঘটনাকে জিইয়ে রাখা ঠিক নয়। অবশ্য অবমাননার মামলাটিকে অন্য কোনও বেঞ্চে শুরু করা যেতে পারে কিনা সেই বিষয়টিও দেখা যেতে পারে।