AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA WB Govt: ২৫ শতাংশ DA দিতেই হবে নবান্নকে, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সময়ও বাঁধল আদালত

DA Case-Supreme Court: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। মামলাও চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। এবার বকেয়া মহার্ঘ ভাতার কিছুটা অন্তত দিয়ে দেওয়ার কথা বলল শীর্ষ আদালত।

DA WB Govt: ২৫ শতাংশ DA দিতেই হবে নবান্নকে, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সময়ও বাঁধল আদালত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2025 | 12:35 PM

নয়া দিল্লি: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে চাপের মুখে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ডিএ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। এবার রাজ্যকে সেই মহার্ঘ ভাতার কিছুটা অংশ দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট শুরুতেই বলে, অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।’ রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না আমার কর্মীদের। এত টাকা দিলে আমরা চালাতেই পারব না।”

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, “আমরা সব রায় দেখেছি। হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি টাকা দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা সত্যি, যে এটা কোনও অধিকার  নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে টাকা দেব না। অন্তত ২৫ শতাংশ দিন।” বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।

আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় দিতে রাজি নয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আবেদন করেন, কিছু একটা নির্দেশ অন্তত দেওয়া হোক, কারণ এই মামলার দিকে তাকিয়ে আছেন হাজার হাজার সরকারি কর্মী। এরপর বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ২৫ শতাংশ ডিএ দিতেই হবে।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্তত ১২৫ শতাংশ ডিএ বকেয়া আছে। আগামী অগস্ট মাসে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পান, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পান ১৮ শতাংশ ডিএ। অর্থাৎ কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তফাৎ ৩৭ শতাংশ।

ডিএ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ বলেন, “৫০ শতাংশ দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য তাতে রাজি হয়নি। অথচ এর থেকে অনেক বেশি খরচ করা হয় রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পে।” তবে এই নির্দেশকে আন্দোলনের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন তিনি।