Supreme Court on ED: “বিচার ছাড়াই বছরের পর বছর হেফাজতে”, ইডিকে ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির
Supreme Court on ED: প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "আমি যদি ধরেনি, এনারা দোষী নন। তাও ইডির কোথাও গিয়ে সাফল্য পেয়ে যাচ্ছে। কারণ, দোষী সাব্যস্ত না হয়েই বছরের পর বছর বিচারাধীন হিসাবে অভিযুক্তদের হেফাজতে কাটাতে হচ্ছে।"

নয়াদিল্লি: ইডির দায়ের করা মামলাগুলির সাজার হার নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করলেন প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই। এদিন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বনাম এএনআর ভি কল্যাণী ট্রান্সকো-র একটি মামলায় ইডির দিকে এই প্রশ্ন তির ছোড়ে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
বার অ্যান্ড বেঞ্চ নামক আইন সংক্রান্ত সংবাদমাধ্য়মের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আমি যদি ধরেনি, এনারা দোষী নন। তাও ইডির কোথাও গিয়ে সাফল্য পেয়ে যাচ্ছে। কারণ, দোষী সাব্যস্ত না হয়েই বছরের পর বছর বিচারাধীন হিসাবে অভিযুক্তদের হেফাজতে কাটাতে হচ্ছে।”
পাশাপাশি, দেশজুড়ে বিভিন্ন আর্থিক তছরুপের মামলা, যার তদন্তভার ইডির আওতাভুক্ত। সেই মামলাগুলির ক্ষেত্রে সাজার হার বা দোষী সাব্য়স্ত হওয়ার হার কত সেই প্রশ্নও সলিসিটর জেনারেলের দিকে ছুড়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
যার উত্তরে তুষার মেহতা বলেন, “সাজার হার ভিন্ন একটি বিষয়। মাঝে মাঝে আমরা ভাবি কীভাবে একজনকে খালাস করে দেওয়া হল? মাঝে মাঝে অভিযানে নেমে এত টাকা উদ্ধার হয় যে গুনতে গুনতে মেশিন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা কিছু সাক্ষাৎকার বা অনলাইন আলোচনার মাধ্যমে সেগুলি নিয়ে তথ্য দিতে পারি না।” যার পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, “আদালত কোনও অনলাইন প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই সাজার হার ও মামলার হার নিয়ে দেশের সংসদে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছর দাখিল হওয়া ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্য়ে আর্থিক তছরুপের আইনের আওতায় মোট ৫ হাজার ২৯৭টি মামলা দায়ের করেছে ইডি। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪৩টি মামলা রায়দান হয়েছে। সেই ৪৩টি মামলার মধ্যে আবার ৪০টি মামলায় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ও ৩টি মামলায় তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। সুতরাং, ৪৩টি মামলার ভিত্তিতে সাজার হার প্রায় ৯৩ শতাংশ হলেও, ৫ হাজার ২৫৪টি মামলার তদন্ত এখনও ঝুলে।

