AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court: মন্ত্রীর নির্দেশে কাজ নয়, আচার্য তথা রাজ্যপালের ‘ক্ষমতা’ বোঝাল সুপ্রিম কোর্ট

Governor's Power: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড়, বিচারপতি  জেবি পাদরিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের তরফে কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে গোপীনাথ রবীন্দ্রনকে পুনর্বহাল বাতিল করেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, "রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর-দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কর্তৃপক্ষ।"

Supreme Court: মন্ত্রীর নির্দেশে কাজ নয়, আচার্য তথা রাজ্যপালের 'ক্ষমতা' বোঝাল সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2023 | 3:57 PM
Share

নয়া দিল্লি: শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বই নয়, রাজ্যপাল (Governor) ওই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যও। তবে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের ক্ষমতা কতটা, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের ভূমিকা ও এক্তিয়ার মনে করিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল বিধিবদ্ধভাবে কাজ করতে বাধ্য, মন্ত্রীদের নির্দেশে তারা পরিচালিত হতে পারেন না।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড়, বিচারপতি  জেবি পাদরিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের তরফে কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে গোপীনাথ রবীন্দ্রনকে পুনর্বহাল বাতিল করেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর-দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কর্তৃপক্ষ। এদের ক্ষমতার মধ্য়েও স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। রাজ্যপাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে কাজ করেন, তখন তিনি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে এবং নিজের ক্ষমতায় দায়িত্ব পালন করেন। এর সঙ্গে রাজ্যপাল হিসাবে তার ক্ষমতা ও দায়িত্বের কোনও সংযোগ নেই।”

কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৬-র নিয়মের অধীনে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান তাঁর আচার্য হিসাবে ক্ষমতা পরিত্যাগ করেছেন কি না, এই বিষয়ে আলোচনা করে বিচারপতি জেবি পাদরিওয়ালা বলেন, “আইনে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর ক্ষমতা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন, তবে সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার ক্ষমতা একমাত্র সেই প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে। যদি কোনও সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ অন্য় কারোর নির্দেশ বা পরামর্শে বিধিবদ্ধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে, তবে তা ক্ষমতা লঙ্ঘন হিসাবেই গণ্য হবে এবং ওই কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্ত আইন বিরুদ্ধ হিসাবে গণ্য করা হবে ও তা বাতিল করে দেওয়া হবে।”

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী কোনও কর্তৃপক্ষের হাতে যে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে, তা পালন করার দায়িত্ব কেবল তারই। অন্য কোথাও বা কারোর দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্তে তিনি কেবল রাবার স্ট্যাপ দিতে পারেন না বা অন্যের সিদ্ধান্তের প্রচার করতে পারবেন না।