ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: জবাব চেয়ে নোটিস কেন্দ্র, রাজ্য, নির্বাচন কমিশনকে

Jul 01, 2021 | 2:20 PM

Supreme Court: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় 'সিট' গঠন করে তদন্তের আবেদন জানিয়ে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলায় নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: জবাব চেয়ে নোটিস কেন্দ্র, রাজ্য, নির্বাচন কমিশনকে
সূত্রের খবর, ৪০ তলার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩২ তলা পর্যন্ত কাজ হয়ে গিয়েছিল, এবং প্রায় ৬৩৩ জন ফ্ল্যাট বুকও করে ফেলেছিলেন। এদের মধ্যে ২৪৮ জন টাকা ফেরত নিয়েছেন, ১৩৩ জন অন্য বহুতলে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। কিন্তু ২৫২ জন এখনও অপেক্ষা করছিলেন আদালতের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসার।

Follow Us

নয়া দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ‘সিট’ গঠন করে তদন্তের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। আজ সেই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে একসঙ্গে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এই মামলা থেকে পরপর এক বিচারপতি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

এর আগে ১৮ জুন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলে একাধিক  পরিবার শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। আদালতে দুই মহিলার ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন করেন বিশ্বজিৎ সরকার। সেখানে অভিযোগ করা হয়, হিংসা ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য সরকার। গুজরাটে গোধরা-পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা উল্লেখ করা হয় আবেদনে। বলা হয়, গুজরাটের মামলায় আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যেখানে আদালতের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করে তদন্ত হয়েছিল। এ বারও একই ভাবে তদন্তের আর্জি জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন: শহরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসের তলায় পড়ে মৃত্যু বাইক আরোহীর, আহত ২০

আজ সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। ব্যবস্থা নেওয়া হলে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে শীর্ষ আদালতকে। চার দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে সব পক্ষকে।

অন্যদিকে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বুধবার মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে গিয়েছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই পর্যবেক্ষণের রিপোর্টই জমা দেওয়া হয় এ দিন। পুরো রিপোর্ট পড়ে তবেই রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। আগামী ২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Next Article