Hyderabad: মেয়েকে ধর্ষণ, ‘নপুংসক’ বাবাকে আজীবন কারাদণ্ড আদালতের
Hyderabad: যদিও ঘটনাটিকে ধর্ষণ বলতে নারাজ আদালত। বরং পকসো আইনের অধীনে যৌন নিগ্রহ হিসাবে ধরে নিয়ে রায় দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত বাবাকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

মাত্র ১৪ বছর বয়স মেয়েটার, ভাবতেও পারেনি এই বয়সে নিজের বাবা-মায়ের থেকেই জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা আসবে। বাস্তবে নেপালের বাসিন্দা কিশোরী ২০২৩ সালে নিজের বাড়িতে নিজের বাবার দ্বারা ধর্ষিত হন। এমনকি এত বড় ঘটনা ঘটে গেলেও কোর্টে শুনানি চলাকালীন নিজের মা পরিত্যাগ করেন নির্যাতিতাকে। যদিও সম্প্রতি নামাপল্লির স্পেশাল কোর্টে বিচার পেয়েছেন নির্যাতিতা। পকসোর আইনে এতদিন মামলা চলছিল আদালতে, সম্প্রতি সেই মামলার রায় দিয়েছে হায়দরাবাদের নামাপল্লির XII অতিরিক্ত দায়েরা আদালত।
যদিও ঘটনাটিকে ধর্ষণ বলতে নারাজ আদালত। বরং পকসো আইনের অধীনে যৌন নিগ্রহ হিসাবে ধরে নিয়ে রায় দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত বাবাকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।
জানা যায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একদিন নেপালের পরিযায়ী শ্রমিকের মাত্র ১৪ বছরের কন্যা নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় কাজ সেরে বাড়িতে ফেরে ৩৮ বছরের বাবা। মদ্যপ অবস্থায় গলায় ছুরি ঠেকিয়ে নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ করেন তিনি।
পরের দিন সকালে নিজের মাকে সবটা জানায় নির্যাতিতা। এরপরেই মেয়েকে নিয়ে ডোমালগুড়া পুলিশ স্টেশনে গিয়ে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মা এবং মেয়ে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাবাকে গ্রেফতার করেন এবং পকসো মামলায় কেস দায়ের করে। এরপরেই নামাপল্লির বিশেষ আদালতে শুরু হয় শুনানি।
এখানেই শেষ নয়, নিগ্রহের বাকি আছে এখনও। শুনানি চলাকালীন বেঁকে বসেন নির্যাতিতার মা। এমনিতে পরিচারিকার কাজ করেন তিনি। আদালতে গিয়ে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে অস্বীকার করেন নিজের মা’ই। এমনকি এও বলেন যে পুলিশ জোর করে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করেন তাঁকে। ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে মা দাবি সেই সময় জানান, কাকা-কাকিমা যাতে নির্যাতিতাকে দত্তক নিয়ে নেন সেই কারণেই নিজের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে নাবালিকা।
যদিও কোর্ট নিজের পর্যবেক্ষণে জানায়, তাঁর পূর্বের বয়ান অনুসারে মহিলা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে তাঁকে এসে নিজের বাবার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানিয়েছিল। এরপরে গত ১৮ মার্চ এই মামলার রায় দেয় কোর্ট।
শুনানি চলাকালীন অভিযুক্ত কোর্টে দাবি করেন তিনি সঙ্গমে অক্ষম। এমনকি কী ভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল তাও স্পষ্ট করে বলতে পারেনি তাঁর মেয়ে। কেবল পারিবারিক ঝগড়ার কারণে তাঁর পরিবারের সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
১১ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ, ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ নথি, এবং তিনটি কেস সংক্রান্ত প্রমাণ পরীক্ষা করার পর কোর্ট জানায়, কিশোরীর নিজের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনার কোনও কারণ নেই। এরপরেই বাবাকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। ক্ষতিপূরণ হিসাবে কিশোরীকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলে।





