হায়দরাবাদ: ২০১৭-র ২২ অগস্ট, তাত্ক্ষণিক তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯-এর জুলাই মাসে সংসদে পাশ হয় মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন। এই আইনে মুসলমানদের মধ্যে তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু, এত কিছুর পরও আটকানো যাচ্ছে না তাৎক্ষণিক তিন তালাক। সম্প্রতি, তেলিঙ্গানার আদিলাবাদে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে স্ত্রীকে তাত্ক্ষণিক তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তর নাম আব্দুল আতিক। তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইনের আওতায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আদিলাবাদের মহিলা থানার ইন্সপেক্টর, জি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে জেসমিন নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন আতিক। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে, বেশ কিছু বিষয় নিয়ে স্ত্রী-স্বামীর মধ্যে তর্কাতর্কি চলছিল। ২০১৩ সালে আব্দুল আতিকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছিলেন জেসমিন। এরপর তিনি আদালতে ভরণপোষণের টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত জেসমিনকে প্রতিমাসে ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৭,২০০ টাকা করে দিতে আদেশ দিয়েছিল আতিককে। কিন্তু, তারপরও জেসমিনকে কোনও টাকা দেয়নি আতিক।
জেসমিন ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আতিককে আদালতে হাজিরাও দিতে হয়। এরপরই জেসমিনকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনবার তালাক লিখে পাঠিয়েছিল আতিক। এই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার ভিত্তিতেই, শনিবার আব্দুল আতিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে আদিলাবাদ থানার পুলিশ। রবিবার (১৯ মে) আতিককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
২০১৯ সালে মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন পাশ হওয়ার পরই তাত্ক্ষণিক তিন তালাক (প্রথা নিষিদ্ধ হয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনও মুসলিম স্বামী, স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিলে, ওই ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এই আইনে আরও বলা হয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা তাঁর সন্তানদের জন্য ভরণপোষণও দাবি করতে পারবেন স্বামীর কাছ থেকে।