হায়দরাবাদ: এত বড় চুল নিয়ে স্কুলে কেন? প্রশ্ন তুলে পড়ুয়াদের চুল কেটে উড়িয়ে দিলেন শিক্ষিকা। তেলঙ্গনার খাম্মাম জেলার একটি স্কুলের ঘটনা। ১৫ জন ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শনিবারের এই ঘটনায় রবিবার সাসপেন্ড করা হয় শিক্ষিকাকে।
অভিযোগ, জেলার কাল্লুরু মণ্ডলে এই স্কুলে শনিবার ইংরাজির শিক্ষিকা কাঁচি দিয়ে তাঁর ছাত্রদের চুল ছেঁটে দেন। অভিযোগ, অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণি মিলিয়ে মোট ১৫ জন ছাত্রের চুল ছেঁটে দেন। এদিকে নতুন হেয়ার কাটে একেবারেই খুশি হয়নি পড়ুয়ারা। স্কুলের সামনেই প্রতিবাদে সরব হয় তারা। এই ঘটনার নিন্দা করেন অভিভাবকরাও।
এই ঘটনায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। আপাতত সাসপেনশনে থাকবেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘ছাত্রদের হেয়ার কাট করাটা শিক্ষকের কাজ নয়। যদি ছাত্ররা অনিয়মিত হয়, শৃঙ্খলাবদ্ধ না হয়, অভিভাবকদের জানানো হবে। এরকম ব্যবহার কখনওই কাম্য নয়।’
যদিও শিক্ষিকার তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই ছাত্রদের লম্বা চুল। বহুবার চুল ছোট করার কথা বলা হয়েছে। তবু বড় চুলেই স্কুলে আসত তারা। ছাত্ররা চুল কাটাতে পারছিল না, তাই তিনিই চুল কেটে দিয়েছেন। এতে কোনও ভুল রয়েছে বলেও মনে করেন না তিনি। তবে কিছু পড়ুয়া ‘বিরোধিতা’ করেছে বলে দাবি তাঁর।