নয়াদিল্লি: বিয়ে করেই কোটিপতি মহিলা। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় নিষ্পত্তি ঘটানো নামে তার প্রাক্তন স্বামীদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি হাতিয়েছেন এই মহিলা।
অভিযুক্ত সীমা ওরফে নিক্কি, ২০১৩ সালে বিয়ে করেন উত্তরাখণ্ডের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুটা সময়ের মাথায় হঠাৎই বেঁকে বসেন সীমা। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। দাবি করেন ৭৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের। দাবি মতো মিলে যায় টাকাও। দাঁড়ি পড়ে সীমার প্রথম বিবাহে।
তবে এখানেই থেমে যায়নি সে। একটা বিচ্ছেদকে হাতিয়ার করে টাকা তোলাটা নেশার মতো হয়ে যায় তার কাছে, দাবি পুলিশের।
তা-ই নেশার টানেই কয়েক বছর পর সম্পর্ক পাতান এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে। ২০১৭ সালে সীমার সঙ্গে বিয়ে করেন সেই ইঞ্জিনিয়ার। আর কয়েক বছর কাটতেই একই পদ্ধতিতে দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সীমা। ক্ষতিপূরণ হিসাবে দাবি করেন ১০ লক্ষ টাকা।
আর তারপরেই ২০২৩ সালে ফের একই ছকে নতুন ফাঁদ পাতেন সীমা। বিয়ে করেন জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় বাড়ির ৩৬ লক্ষ টাকার সমান গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে ফেরার হয় সে। পরিস্থিতি গভীরতা বুঝতে পেরে সীমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সেই পরিবার। আর তারপরেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। ফাঁস হয় সব কীর্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটগুলি থেকে নিজের এই ফাঁদ পাততেন সীমা। তার সফ্ট টার্গেটে থাকত সেই সব পুরুষরা, যারা হয়তো ডিভোর্সড অথবা তাদের স্ত্রী মারা গিয়েছে। তারপরেই তাদের কাছে যেত সীমার মেসেজ। প্রেম-বিয়ে-তারপর বিচ্ছেদের নাটকে লক্ষ টাকা হাতানো। এই নাটকেই নাকি বিভিন্ন রাজ্য থেকে মিলিয়ে প্রায় ১.২৫ কোটি টাকা হাতিয়েছেন সীমা।