নয়া দিল্লি: জামিন পেয়েই পুরনো দাপটে অনুব্রত। সূত্রের খবর, তিহাড় থেকে বাইরে পা রাখার পরেই নিরাপত্তা চাই তাঁর। ঘনিষ্ঠ এবং আইনজীবীদের কাছে দাবি এমনটাই। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে অনুব্রতকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ফলে, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এও শোনা যাচ্ছে তিহাড় থেকে বেরিয়ে এক মুহূর্ত দিল্লিতে থাকতে চান না তৃণমূলের বীরভূম সভাপতি। সোমবার রাতেই কলকাতা ফেরার ফ্লাইট-এর টিকিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তিহাড় থেকে সোজা দিল্লি বিমানবন্দরে রওনা হবেন অনুব্রত। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনুব্রতর সঙ্গে ফিরতে পারেন সদ্য জামিন প্রাপ্ত তার মেয়ে সুকন্যাও মণ্ডলও। জামিন পাওয়ার পর থেকে দিল্লির গোপন ঠিকানায় আছেন সুকন্যা। আদালতের নির্দেশে ১৮ মাস তিহার যাপনের সময় দিল্লির একাধিক নামে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন অনুব্রত। তবে জেলের কঠোর অনুশাসনে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য ফিরেছে তাঁর। কমেছে ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগস্ট মাসে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে আবার গ্রেফতার হন এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটর হাতে। সিবিআইয়ের কেসে গত জুলাই মাসে জামিন পেলেও, ইডির কেসে সদ্য জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাতেই জেল মুক্তি।