নয়া দিল্লি: আগাম কোনও ইঙ্গিতই দেননি, আচমকাই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ। সূত্রের খবর, দলের নির্দেশেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যদিও ঠিক কী কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই তিনি দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। তবে ইস্তফার কারণ নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। দলের কেউই এই নিয়ে মুখ খোলেননি। অর্পিতা পরিবর্তনের সরকারের অন্যতম মুখ হওয়ার পাশাপাশি বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্বও বটে। ফলে তাঁর পদ ছাড়ায় ব্যাপক জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে।
সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই অর্পিতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এই নিয়ে সুখেন্দু শেখর রায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পক্ষ থেকেও এই পদত্যাগের কোনও ব্যাখ্যা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, অর্পিতার জায়গায় নতুন কাউকে রাজ্যসভার মুখ করে সংসদে পাঠাতে পারে তৃণমূল। ঠিক যেভাবে মানস ভুইঞাঁর আসনে সুস্মিতা দেবকে পাঠিয়েছে তৃণমূল। একই ভাবে জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিচার করে অর্পিতার জায়গায় অন্য কেউ যেতে পারেন। অন্যদিকে, অর্পিতা সংগঠনের আবারও কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি কিছুই জানি না। এই মাত্র অর্পিতাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ও ধরল না। তারপর আরেকজন সাংসদকে বললাম যদি যোগাযোগ করতে পারে। তবে আমি খুব দুঃখিত। অর্পিতা ভাল মেয়ে, খুব লড়াকু মেয়ে। রাজ্যসভায় ভাল দলের হয়ে কাজ করছিল। কেন ওঁ ইস্তফা দিল…আমি খুব দুঃখিত এই নিয়ে। (ইস্তফার কারণ) রাজনৈতিক হওয়া উচিত নয়।” অন্যদিকে, বিজেপি গোটা বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। ফলে দল বদলের সম্ভবনা বা কোনও জল্পনাও নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর এজেন্ট সুফিয়ানকে তলব সিবিআইয়ের
দলের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও একটি সূত্র জানাচ্ছে, দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসার কারণেই তিনি এমনটা করে থাকতে পারেন। বলাই বাহুল্য, এই নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। অর্পিতা নিজে যতক্ষণ না বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে অর্পিতার ঘনিষ্ঠ মহল।
আরও পড়ুন: LIVE UPDATES: অজানা জ্বরে কাঁপছে বঙ্গ, আক্রান্ত প্রায় ১০০০ শিশু, পিছিয়ে নেই হরিয়ানাও