Blood Price: টাকা দিয়ে রক্ত কেনেন! কড়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্র

সাধারণত, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি থেকে রক্ত নিতে হলে মোটা টাকা খরচা করতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতি ইউনিট রক্তের জন্য ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়। রক্তের গ্রুপ বিরল হলে তো আর কথাই নেই। এই টাকা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক ইউনিট রক্তের দাম ১০ হাজার ছাড়ানোর রেকর্ডও রয়েছে।

Blood Price: টাকা দিয়ে রক্ত কেনেন! কড়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্র
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 04, 2024 | 1:44 PM

নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রক্ত নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে তৎপর কেন্দ্র। বেসরকারি হাসপাতাল ও ব্লাডব্যাঙ্কগুলি যাতে বেশি দামে রক্ত বিক্রি না করে তার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে প্রসেসিং ফি ছাড়া রক্তের জন্য অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা কমাতেই এই উদ্যোগ। ‘রক্ত বিক্রির জিনিস নয়’ এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের নতুন নির্দেশিকা মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে।

সাধারণত, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি থেকে রক্ত নিতে হলে মোটা টাকা খরচা করতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতি ইউনিট রক্তের জন্য ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়। রক্তের গ্রুপ বিরল হলে তো আর কথাই নেই। এই টাকা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক ইউনিট রক্তের দাম ১০ হাজার ছাড়ানোর রেকর্ডও রয়েছে।

কিন্তু নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, রক্তের জন্য কেবল প্রসেসিং ফি নেওয়া যাবে। রক্ত বা রক্তের উপাদান প্রসেসিং ফি বাবদ ২৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা নেওয়া যাবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। প্লাজমার জন্য প্রতি প্যাকেটে ৪০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রক্ত সংক্রান্ত অন্যান্য ফি-এর উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই রক্ত নেওয়ার সময় রক্তদাতা জোগাড় করতে পারেন না। বিশেষত কোনও অস্ত্রোপচারের সময় এই সমস্যা বেশি হয়। তখন দ্রুত রক্তের প্রয়োজন হয়। তা জোগাড় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের। রক্ত ঘিরে অসাধু চক্রের বিষয়টিও রয়েছে। আবার থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের নিয়মিত সময় অন্তর রক্ত নিতে হয়। চড়া দামের জন্য সমস্যায় পড়তে তাঁদেরও। কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশিকা সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নির্দেশিকা যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি না, সে দিকেই থাকবে নজর।