Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ত্রিপুরায় ‘সিঁদ কাটতে’ চাইছে তৃণমূল, সংগঠনের রাশ নিজের হাতে নিতে উদ্যোগী শাহ-নাড্ডা

ত্রিপুরার রাশ যাতে কোনও ভাবেই হাতছাড়া না হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করতে চলেছেন খোদ অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা।

ত্রিপুরায় 'সিঁদ কাটতে' চাইছে তৃণমূল, সংগঠনের রাশ নিজের হাতে নিতে উদ্যোগী শাহ-নাড্ডা
ছবি-টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 3:45 PM

আগরতলা: উত্তর-পূর্বের ছোট্ট বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় ক্রমশ প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাখির চোখ, ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোট। সেই নির্বাচনেই এই বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে সরকার গঠন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ঘাসফুল। যার প্রস্তুতি গত এক মাস ধরেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এহেন অবস্থায় ত্রিপুরার রাশ যাতে কোনও ভাবেই হাতছাড়া না হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করতে চলেছেন খোদ অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। বিজেপি সূত্রে খবর এমনটাই।

দেশের উত্তর-পূর্ব এবং বাংলায় ক্ষমতায় দখলের স্বপ্ন ছিল বিজেপির বহুদিনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একের পর এক রাজ্যে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। বিরোধী শিবিরের ঐক্যও চোখে পড়ার মতো নয়। এই অবস্থায় ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে এ রাজ্যে বিজেপির বিজয়রথ আটকে দেওয়া তৃণমূল। নির্বাচনের ২ বছর আগে থেকেই তৃণমূলের এই সক্রিয়তায় বিজেপি যে মোটেই স্বস্তিতে নেই, সেই ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। যে কারণে সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। পরিস্থিতির রাশ এ বার অমিত শাহ নিজের হাতে নিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

বিজেপি সূত্রে খবর, অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা ত্রিপুরায় যেতে পারেন, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা। দলের পরিস্থিতি ঠিক কী রকম, তা জানতে সাংগঠনিক কাজকর্মের রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সরকার যেভাবে চলছে তার রোডম্যাপে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। তৃণমূল যেভাবে লাগাতার এই রাজ্য়ে ‘সিঁদ কাটার’ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা রুখতেই যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। সাংগঠনিক রদবদল এই মুহূর্তে না এলেও, সংগঠনের পরিচালনার খোলনোলচে বদলে ফেলা হতে পারে, এই ধরনের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রাত্য বসু-সহ আরও ৪ সাংসদ শুক্রবারই পৌঁছে গিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা আপাতত ত্রিপুরা যাচ্ছেন না। তাঁদের শরীর ঠিক নেই। উপরন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গতকাল তাঁদের যেতে বারণ করেছেন। অন্য অংশের মতে, দেবাংশু, সুদীপ, জয়াদের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ সেই মামলা সাজিয়েছে। সম্ভবত সেই জন্যই আপাতত সুদীপ, জয়ার যাওয়া স্থগিত হল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, যুব নেতাদের শরীর আপাতত ভাল নেই। তাই যাবেন না। এর সঙ্গে অন্য কোনও কারণ নেই। আরও পড়ুন: এখনও ফর্ম বিলিই শুরু হল না, তারই মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম নিয়ে শুরু জালিয়াতি! সপরিবারে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা