এখনও ফর্ম বিলিই শুরু হল না, তারই মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম নিয়ে শুরু জালিয়াতি! সপরিবারে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

Lakshmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের পিছিয়ে পড়া জনজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে।

এখনও ফর্ম বিলিই শুরু হল না, তারই মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম নিয়ে শুরু জালিয়াতি! সপরিবারে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 12:31 PM

শিলিগুড়ি: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে (Lakshmi Bhandar) ফর্ম নিয়ে জালিয়াতির জের। এবার শিলিগুড়ি (Siliguri) সংলগ্ন আমবাড়িতে এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে সপরিবারে গ্রেফতার করল পুলিশ।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পের ফর্ম চড়া দরে বিক্রি করছিলেন বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ির বাসিন্দা বাপ্পা দে সরকার এবং তাঁর দাদা বাপি দে সরকার। বাপ্পা এলাকায় তৃণমূলের এসসি,এসটি, ওবিসি সেলের বুথ সভাপতি। এই ঘটনায় বাপ্পা এবং তাঁর দাদা-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা বাপ্পা দে সরকার, তাঁর দাদা বাপি দে সরকার এবং বৌদি শিখা দে সরকার ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিত্ মহন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করা হবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের পিছিয়ে পড়া জনজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের ফর্ম মিলবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।

কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুদিন ধরেই বাড়ি থেকে ফর্ম বিক্রি করছিলেন। এবং ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা দিতে বাধ্য করেছিলেন। প্রকল্পের সুবিধা পেতে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের ফর্মের দাম হিসেবে ১০০ টাকা, ফর্ম ফিল আপ করার জন্য আরও ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় হইচই। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ।

গ্রামেরই এক মহিলা বললেন, “আমরা তো জানি না ওত কিছু। আমরা ফর্মটা জমা করে দিলাম। টাকাও নিলেন ম্যাডাম। আমরা তো জানি না কী করতে হবে।” তবে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যার বক্তব্য, “আমি স্কুলের দিদিমনি। আমাদের কাছে ফর্ম নাই। আমার কাছে ওঁদের বাচ্চারা পড়ে। ওঁরা লিখতে পারেন না। তাই ওঁদের লিখি দিচ্ছি। সময় চলে যাবে, তাই লিখি দিচ্ছি। আমরা ফর্ম বিক্রি করি না।”

শুধু তাই নয়, ওই সদস্যা এক্কেবারে দেখিয়েই দিলেন কীভাবে ওই ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। কিন্তু তাঁর দাবি, পাড়ার দোকানেই নাকি এখনই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি হচ্ছে। তিনি শুধু ফর্ম ভর্তি করে দিচ্ছেন। আর তার জন্য যে তিনি ৫০-৬০ টাকা করে নিচ্ছেন, তাও স্বীকার করে নিলেন এক বাক্যেই। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

এপ্রসঙ্গে শিলিগুড়িতে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, “সরকারের নির্দেশ রয়েছে। সেসব না মেনে কেউ এসব করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেই। কেউ আইনের উর্ধ্বে নন। এক্ষেত্রেও বিডিও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ পদক্ষেপ করেছেন। অভিযুক্তরা কোন দলের নেতা তা দেখার প্রয়োজন নেই।”

এক নজরে দেখে নিন কীভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করা যাবে?

১৬ অগস্ট থেকে এ রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। ১৬ অগস্ট থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প পুনরায় চালু হয়ে যাচ্ছে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেখানেই পাওয়া যাবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের আবেদনপত্র। আরও পড়ুন: ‘সরকার ত্রিপুরা যাওয়ার জন্য বিমান তৈরির অর্ডার দিয়েছে, এরপর রোজ যাবে’, কটাক্ষ দিলীপের