নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমশ প্রসার ঘটছে হিন্দি ভাষার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে একসূত্রে বাঁধছে। বিশ্বে ৬০ কোটির বেশি মানুষ হিন্দি ভাষায় কথা বলেন। সংস্কৃতির আদান-প্রদানে বড় ভূমিকা নিচ্ছে হিন্দি ভাষা। বিশ্বমঞ্চে হিন্দি ভাষার প্রসারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকরা।
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের তরফে হিন্দি ভাষাকে স্মরণ করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাংসদদের এক প্রতিনিধি দল। রাষ্ট্রপুঞ্জের একাধিক দূত ও আধিকারিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাংসদ বীরেন্দ্র প্রসাদ বৈশ্য বলেন, বিভিন্ন দেশে হিন্দি ভাষার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ডিপার্টমেন্ট অব গ্লোবাল কমিউনিকেশনসের ডিরেক্টর ইয়ান ফিলিপস বক্তব্য শুরু করেন ‘নমস্কার দোস্তো’ বলে। বিশ্বজুড়ে হিন্দির প্রসারকে সত্যিকারের হৃদয়স্পর্শী বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইয়ান ফিলিপস বলেন, বিশ্বের ৬০ কোটির বেশি মানুষ হিন্দি ভাষায় কথা বলেন। ইংরেজি ও ম্যান্ডারিনের পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলেন হিন্দি ভাষাতে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় প্রথম হিন্দিতে কথা বলা হয় ১৯৪৯ সালে।”
হিন্দি ভাষার প্রশংসা করে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমশ প্রভাব বাড়ছে বিশ্বে। আর এতে বড় ভূমিকা রাখবে ভারত। আর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হবে হিন্দি ভাষা। জঙ্গল, পাজামা, বাংলো, যোগা এবং গুরুর মতো হিন্দি শব্দ ইংরেজি শব্দভান্ডারে স্থান পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। হিন্দি ভাষার প্রসারে বলিউড সিনেমার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন ফিলিপস। বলিউড সিনেমা হিন্দি ভাষা ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হিন্দি নিউজ ওয়েবসাইট লঞ্চ হয়। সেই ওয়েবসাইটে ৪০ শতাংশ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা আসেন। ওই ওয়েবসাইট আরও প্রসারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রপুঞ্জে নেপালের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত লোক বাহাদুর থাপা বলেন, “নেপাল ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্কে বড় ভূমিকা রয়েছে হিন্দি ভাষার।” হিন্দি ভাষা জানায় দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্যেরও সুবিধা হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে মরিশাসের স্থায়ী প্রতিনিধি জগদীশ ধরমচাঁদ কুনজুল বলেন, তাঁদের দেশে বিশেষ স্থান দখল করেছে হিন্দি ভাষা।