নয়াদিল্লি: খরিফ শস্যের এমএসপি বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির কথা বুধবার ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। এমএসপি বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য খরিফ শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকরা যাতে ফসলের ভাল দাম পান এবং ফসলের উৎপাদন বাড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হয় সে জন্যই এমএসপি বাড়ানো হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় সরকারের এমএসপি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে তেলঙ্গানার কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি এ ব্যাপারে বলেছেন, “২০১৪ সাল থেকে এমএসপি গড়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির জেরে তেলঙ্গানার কৃষকরা ব্যাপক উপকৃত হবে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত যে সব ফসলের উৎপাদন বেশি, তাঁর সহায়ক মূল্য বেড়েছে।” বিভিন্ন ফসলের এমএসপি বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেছেন, “২০১৪ সাল থেকে সানফ্লাওয়ারে এমএসপি ৮০ শতাংশ বেশি বেড়েছে। তুলোতেও ৭৫ শতাংশ বেড়েছে এমএসপি। যা তেলঙ্গানায় হ্যান্ডলুম ও বস্ত্রশিল্পকে উজ্জীবিত করবে। তেলঙ্গানা ধান উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম। ধান ও ভুট্টায় এমএসপি ২০১৪ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। যা অন্নদাতাদের ব্যাপক সুবিধা দেবে।”
মোদী সরকারের খরিফ শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধিতে আশার আলো দেখছেন দেশের অগণিত কৃষক। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে সাধারণ ধানের এমএসপি ছিল ১৩৬০ টাকা। ২০২৩-২৪ সালের জন্য তা বেড়ে হয়েছে ২১৮৩ টাকা। অর্থাৎ তা ৬১ শতাংশ বেড়েছে। এ গ্রেড ধানের এমএসপি ২০১৪ সালের থেকে বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। সানফ্লাওয়ার বীজে ২০১৪ তে এমএসপি ছিল ৩৭৫০ টাকা। ২০২৩-২৪ সালে তা হবে ৬৭৬০ টাকা। যা প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। লম্বা ও মাঝারি সব ধরনের তন্তুর তুলোর ক্ষেত্রে এমএসপি ৭৩ থেকে ৭৭ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটের সময়ই কৃষকের উৎপাদন খরচের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি সহায়ক মূল্য দেওয়ার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডি জানিয়েছেন, কৃষকদের গড় উৎপাদন খরচের থেকে এমএসপি ৫০ শতাংশ বেশি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৪৫৫ টাকা ধানের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে। ধানের এমএসপি নির্ধারিত হয়েছে ২১৮৩ টাকা। যা প্রায় উৎপাদন খরচের থেকে ৫০ লাভের সুযোগ রয়েছে কৃষকদের জন্য।