নয়া দিল্লি: কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) অজয় রাই বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে (Smriti Irani) তোপ দেগেছিলেন। কংগ্রেস নেতা কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, আমেঠিতে নিজের কেন্দ্রে ‘লটকাস ঝটকাস’ দেখাতে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবার এই মন্তব্যের জন্যই কংগ্রেস নেতাকে এক হাত নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, ‘নারীবিদ্বেষী গুন্ডাদের একজন নতুন স্পিচ রাইটার দরকার।’
স্মৃতি ইরানি টুইটে লেখেন, ‘এক স্থানীয় নেতার কাছ থেকে জানতে পেরেছি আপনি (রাহুল গান্ধী) নাকি ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ঘোষণা করেছেন। তাহলে আমি কি নিশ্চিত হতে পারি যে আপনি আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? আপনি কি আর দ্বিতীয় আসনে লড়বেন না? আপনার ভয় করছে না? যদিও আপনার এবং মাম্মি জির উচিত নারী বিদ্বেষী গুন্ডাদের একজন নতুন স্পিচ রাইটার দেওয়া।’ এদিকে বিজেপির মুখপাত্র আনন্দ দুবে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, যে দল থেকে একজন মহিলা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছে সেই দলের নেতার মুখে এই ধরনের উক্তি লজ্জাজনক। তিনি লখনউতে বলেছেন, কংগ্রেস সবসময়ই নারী বিরোধী কথাবার্তা বলে থাকে।
सुना है @RahulGandhi जी आपने अपने किसी प्रांतीय नेता से अभद्र तरीके से 2024 में अमेठी से लड़ने की घोषणा करवाई है।
तो क्या आपका अमेठी से लड़ना पक्का समझूँ? दूसरी सीट पर तो नहीं भागेंगे? डरेंगे तो नहीं???
PS: You & Mummy ji need to get your mysoginistic goons a new speechwriter.
— Smriti Z Irani (@smritiirani) December 19, 2022
প্রসঙ্গত, সোমবার কংগ্রেস নেতা অজয় রাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তিনি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে আসেন শুধুমাত্র ‘লটকা’ ও ‘ঝটকা’ দেখাতে। আর কংগ্রেস নেতার এহেন কুরুচিকর মন্তব্যে উসকে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বদের। তারপরই কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না প্রশ্ন করা হলে রাই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা গান্ধী পরিবারের আসন। রাহুল জি এই আসন থেকে লোকসভা সাংসদ ছিলেন। এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন রাজীব জি ও সঞ্জয় জিও। এবং এই কেন্দ্রের জন্য তাঁরা কাজ করেছেন।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমেঠিতে বেশিরভাগ কারখানাই বন্ধের মুখে। জগদীশপুর শিল্পাঞ্চলে একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। স্মৃতি ইরানি শুধু আসেন, ‘লটকা-ঝটকা’ দেখান এবং চলে যান।’ এই মন্তব্যের পরই টুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন খোদ স্মৃতি ইরানিই।