Uttar Pradesh: খুন না অপহরণ, ৩ বছর কুস্তি চলেছে শ্বশুরবাড়ি-বাপের বাড়িতে, অথচ মহিলা…

Uttar Pradesh: তাঁর পরিবার, তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করেছে। আবার তাঁর স্বূামী, তাঁর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু, তিন বছরে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি তদন্তে অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল মহিলার।

Uttar Pradesh: খুন না অপহরণ, ৩ বছর কুস্তি চলেছে শ্বশুরবাড়ি-বাপের বাড়িতে, অথচ মহিলা...
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Oct 08, 2024 | 10:24 AM

লখনউ: প্রায় তিন বছর ধরে তোলপাড় করে খোঁজ চলেছে তাঁর। উত্তর প্রদেশের গোন্ডা থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। এই তিন বছরে তাঁর পরিবার, তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করেছে। আবার তাঁর স্বূামী, তাঁর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু, তিন বছরে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এতদিনে তাঁর সন্ধান পেল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। গোন্ডার পুলিশ সুপার, বিনীত জয়সওয়াল জানিয়েছেন, লখনউয়ে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ওই মহিলার। তিন বছর ধরে সেখানে তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সুখে বসবাস করছেন।

মহিলার নাম কবিতা। ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর, দাদুহা বাজার এলাকার বিনয় কুমারকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এরপর, ২০২১-এর ৫ মে হঠাৎ করেই শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কবিতার বাপের বাড়ির লোকজন, তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছিল। তাঁর স্বামী, দেওর, এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০২২-এর সালের ডিসেম্বরে, কবিতার ভাই অখিলেশ-সহ তাঁর বাপের বাড়ির ছয়জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছিলেন কবিতার স্বামী বিনয় কুমার। তিনি অভিযোগ করেন, বাপের বাড়ির লোকজনই কবিতাকে অপহরণ করেছে।

দুই মামলারই তদন্ত চলছিল। কিন্তু, কবিতার কোনও খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি হাইকোর্টে পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্ট জানতে চায় পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর, উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশ যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত শুরু করে। অবশেষে সম্প্রতি কবিতা ও তাঁর প্রেমিক, সত্য নারায়ণ গুপ্তর খোঁজ পায় তদন্তরকারীরা। লখনউয়ের ডালিগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে গত তিন বছর ধরে বাস করছিলেন তাঁরা।

এসপি বিনীত জয়সওয়াল বলেছেন, “গোন্ডার দুর্জনপুর বাজারে সত্য নারায়ণের একটি দোকান ছিল। কবিতা প্রায়শই সেই দোকানে যেতেন। ক্রমে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর, তাঁরা দুজনে একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।” জেরার সময় কবিতা জানিয়েছেন, লখনউয়ে আসার আগে এক বছর ধরে তিনি এবং সত্য নারায়ণ অযোধ্যায় থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, কবিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁকে শিগগিরই আদালতে পেশ করা হবে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।