‘কেন এমন মিথ্যে বললেন?’, সুদীপার পুজোর সাজ দেখে একহাত নেটিজেনদের

Sudipa Chatterjee: দুর্গাপুজো মানে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে হইহই রব। প্রতিবছরই ধুমধাম করে এই চারটে দিন পালন করেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবংতাঁদের গোটা পরিবার। তবে এই বছরের পুজো অনেকটাই ফিকে। এমনটাই TV9 বাংলাকে জানিয়েছিলেন সুদীপা। কিন্তু তাঁর ইনস্টাগ্রাম অবশ্য বলছে অন্য কথা।

'কেন এমন মিথ্যে বললেন?', সুদীপার পুজোর সাজ দেখে একহাত নেটিজেনদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2024 | 5:47 PM

দুর্গাপুজো মানে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে হইহই রব। প্রতিবছরই ধুমধাম করে এই চারটে দিন পালন করেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবংতাঁদের গোটা পরিবার। তবে এই বছরের পুজো অনেকটাই ফিকে। এমনটাই TV9 বাংলাকে জানিয়েছিলেন সুদীপা। কিন্তু তাঁর ইনস্টাগ্রাম অবশ্য বলছে অন্য কথা। পুজোর দিন কটায় খুব যে বেশি তাঁদের আনন্দে ভাঁটা পড়েছে অন্তত ছবি দেখে তেমনটা মনে হচ্ছে না। তাঁর ছবি দেখে অনেকেই সে কথা বলছেন। একগুচ্ছ সোনার গয়না পরে, লাল পাড় সাদা শাড়িতে দেখা গিয়েছে সুদীপাকে। গলায় তিনটে সোনার হার। কানে ভারি সোনার ঝুমকো। একেবারে বাড়ির গিন্নির মতোই দেখাচ্ছিল তাঁকে। সেই ছবি দেখে কিন্তু নেতিবাচক মন্তব্য করতে ছাড়েননি অনেকেই।

কারণ,তিনি বার বার একটাই কথা জানিয়েছিলেন যে এই বছর মা চলে যাওয়ায় মন থেকে উত্‍সব করার সেই ইচ্ছা তৈরি হচ্ছে না। তার পর তাঁকে এমন সাজগোজ করতে দেখে একজন লেখেন, “কেন এমন মিথ্যে বললেন? দিব্যি তো পুজোয় মেতেছেন।” আবার আর এক জন লিখেছেন, “আপনি তো বলেছিলেন যে পুজোয় সে ভাবে কিছু করবেন না তাহলে এত সাজলেন কী ভাবে?” কাউকে কিছু উত্তর দেননি যদিও সুদীপা।

পুজো প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “মা যে প্রতি বছর হাতে একটু টাকা দিয়ে বলতেন কিছু কিনিস। সেগুলো খুব মনে পড়ছে। প্রথম বার মা-বাবা ছাড়া পুজো। তাই আমরা ঠিক করেছি কিছু কিছু বিষয় বন্ধ রাখব। পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি হবে না। তবে হইহুল্লোড়টা এ বছর একটু কমিয়ে দেব। নবমীর পুজোর পরে আমাদের বাড়ি অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করি। কিন্তু এ বছর সেটা বন্ধ রাখছি। অষ্টমীর রাতে গান বাজনারও আয়োজন করা হয়।

সেটা আমার মা বড্ড ভালবাসতেন। তাই এই বছর আর সেটাও করছি না। আসলে মন ভাল নেই তাই উদযাপনে ঠিক মন নেই। তার মধ্যে তিলোত্তমার ঘটনা তো আছেই। আমি যত দূর শুনেছি তিলোত্তমাও পুজো করতেন। ওর পুজো এ বছর তিন না চার বছরে পা দিত। সেখানে সেই মানুষটাই আজ নেই কোথাও। তাই আমরা কী ভাবে এ বছর পুজোর উদযাপন করতে পারি। তাই পুজো হবে কিন্তু হইহুল্লোড়, বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া আনন্দ এই অংশটুকু এ বছর বাদই রাখছি।” নিজের ব্যবসা এবং রান্নার শো নিয়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন সুদীপা।