Supreme Court: ‘আমি তো মুসলিম মালিকের দোকানেই খেতে যেতাম…’, অভিজ্ঞতার কথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি

Jul 23, 2024 | 10:10 AM

Supreme Court: মামলাকারী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এদিন আদালতে বলেন, 'খাবার তো মেনু কার্ড দেখে পছন্দ করতে হয়, মালিকের নাম দেখে নয়।' শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশ নয়, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।

Supreme Court: আমি তো মুসলিম মালিকের দোকানেই খেতে যেতাম..., অভিজ্ঞতার কথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
ফাইল চিত্র
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: খাবারের দোকানের সামনে লিখে রাখতে হবে মালিকের নাম। কানোয়ার যাত্রা শুরু হওয়ার আগে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল যাত্রাপথে যত ধাবা বা রেস্তোরাঁ থাকবে, সেগুলিতে দোকানের মালিক ও কর্মীদের নাম লিখে রাখতে হবে। এই নির্দেশ নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। বিরোধী দল থেকে শুরু করে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন এমন নির্দেশিকা নিয়ে। সোমবার সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মালিকের নামে কী আসে যায়, সেই প্রশ্নও উঠেছে শীর্ষ আদালতে।

যোগী সরকারের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। আদালত জানিয়েছে, কী খাবার বিক্রি করা হচ্ছে, সেটা লিখে রাখা যেতে পারে।

এই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন আদালতে। তিনি বলেন, “কেরলে যখন ছিলাম, তখন এই বিষয়ে আমার একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বিচারপতি হিসেবে শহরের নাম আমি উল্লেখ করছি না। তবে মনে আছে, সেই শহরে হিন্দুদের একটি নিরামিষ খাবারের হোটেল ছিল, আর একটি নিরামিষ খাবারের হোটেল চালাতেন মুসলিমরা।” এরপর বিচারপতি বলেন, “আমি নিরামিষ খেতে ওই মুসলিমদের হোটেলে যেতাম। কারণ ওই হোটেলে খাবারের মান ভাল ছিল। সুরক্ষার প্রশ্নেও আগে ছিল ওই হোটেলটি। ছিল পরিচ্ছন্নও।”

মামলাকারী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এদিন আদালতে বলেন, ‘খাবার তো মেনু কার্ড দেখে পছন্দ করতে হয়, মালিকের নাম দেখে নয়।’ শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশ নয়, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তিন রাজ্যকেই নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মহুয়া মৈত্র ছাড়াও এই মামলা করেছেন শিক্ষাবিদ অপূর্ব ঝা, আকর পটেল ও এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস।

Next Article