Covaxin for Children: কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত অবৈজ্ঞানিক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক?
Covaxin for Children: বড়দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকেই ছোটদের করোনা টিকাকরণ শুরু করা হচ্ছে। আপাত, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীরাই এই টিকা পাবেন।
নয়া দিল্লি : প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি চলছে। যত দ্রুত দেশের প্রত্যেক নাগরিককে টিকা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চলছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, এবার শুরু হবে কিশোর কিশোরীদের টিকাকরণ। জানুয়ারি মাস থেকেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জরুরিভিত্তিতে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অ-প্রাপ্তবয়স্কদের এই টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সিদ্ধান্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে, এইমসের বিশিষ্ট মহামারী বিশেষজ্ঞ বা এপিডেমোলজিস্ট ড. সঞ্জয় কে রাই মনে করছেন, এটি কেন্দ্রের অবৈজ্ঞনিক সিদ্ধান্ত।
কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ অবৈজ্ঞনিক!
এপিডেমোলজিস্ট ড. সঞ্জয় কে রাই, ইন্ডিয়ান পাবলিক হেল্থ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। তিনি উল্লেখ করেছেন, কিশোর কিশোরীদের টিকাকরণ সম্পর্কিত ঘোষণা করার আগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন ছিল। যে সব দেশে শিশুদের টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, সে সব দেশের তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের টুইটার পেজে ট্যাগ করে একটি টুইট করেছেন ড. সঞ্জয় কে রাই। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য যে ভাবে কাজ করেন ও যে ভাবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন, তাতে আমি ওনার একজন ভক্ত। কিন্তু এই শিশুদের টিকাকরণের অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত হতাশ।’
কেন অবৈজ্ঞানিক?
কেন এমন বললেন চিকিৎসক, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ড. রাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ নাকি করোনায় মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ, কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা ঠিক করতে হবে।
তথ্য দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বেশির ভাগ দেশেই দেখা যাচ্ছে, বুস্টার ডোজ় নেওয়ার পরও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। ইউকে-তে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎকের দাবি, ১০ লক্ষ করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১৫ হাজারের মৃত্যু হয়। ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হলে, সেই হার কমতে পারে। প্রতি ১০ লক্ষে অন্তত ১৩ থেকে ১৪ হাজার মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, শিশুদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় না তেমন, মৃত্যুর হারও কম।
তাই, মৃত্যুর সম্ভাবনা যেখানে কম, সেখানে টিকার প্রভাবের কথা মাথায় রেখে, না টিকা দেওয়াই ভালো বলে মনে করেন তিনি।
শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা
ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। করোনা সংক্রমণ ও টিকাকরণের জন্য গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডঃ অরোরা জানান, ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখিয়েছে, তাই শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন : Corona Virus: ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই স্বস্তি দেশের দৈনিক করোনা গ্রাফে, পরপর দু’দিন ৬ হাজারের ঘরেই সংক্রমণ!